
ছবি: প্রতীকী
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ১১ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে তারই সৎ দাদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে আমেনা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। সোমবার (১৭ মার্চ) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের দৈয়ারা পূর্বপাড়া এলাকায়। অভিযোগ রয়েছে, নজরুল ইসলাম কৌশলে শিশুটিকে ঘরের ভেতরে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি কান্না করলে তার সৎ দাদী আমেনা বেগম ঘটনাটি দেখে ফেলে। কিন্তু শিশুটিকে সাহায্য করার পরিবর্তে তিনি ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন।
তবে শিশুটি ভয় না পেয়ে পরিবারের কাছে সব জানিয়ে দেয়। পরদিন (১৬ মার্চ) স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে ভিকটিম শিশু সবার সামনে ঘটনা প্রকাশ করলে তার দাদী আমেনা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমনকি প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ইসলামও শিশুটিকে মারার চেষ্টা করে।
শিশুটির মা সাহসিকতার সঙ্গে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আমেনা বেগমকে গ্রেফতার করে, তবে প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
এম.কে.