
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা বাগবাড়ি এলাকায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও পূর্বের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এবং বাড়িঘর ভাংচুরে অভিযোগ পাওয়া যায় ।
রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ইফতারের পরে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ থাকলেও এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আহতের খবর পাওয়া যায় নাই ।
জানা যায়, সালথা উপজেলার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আছাদ মাতুববরের সমর্থক আফতাব মৃধা ও জামায়াতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লার সমর্থক তুরাপ মাতুবরের মধ্যে সন্ধ্যার পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সন্ধ্যার আগে সালথা বাজারে স্থানীয় ওলামা লীগের নেতা হারুন মাতুবরের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে বিএনপি'র সমর্থক আফতাব মৃধার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় হারুন মাতুব্বর বর্তমানের জামাতের সমর্থক হওয়ায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আফতাব মৃধাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন। এ নিয়ে দুজনের ভিতরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হারুন মাতুব্বর আফতাব মৃধাকে থাপ্পড় দেন। এ সময়ে বাজারের লোকজন এসে ঘটনাটি সেখানেই মীমাংসা করে দেন।
এরপর ইফতারের পরে আফতাব মৃধা বাগবাড়ি বিএনপির সমর্থক মিজানের দোকানের সামনে গেলে রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে জামাত নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লার সমর্থক তুরাপ মাতুব্বর দোকানের সব লোকজনকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। আর তা না হলে তিনি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাবেন বলে হুমকি দেন। একথা বলার পরে বিএনপির সমর্থক মিজান ও আফতাবের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওলামা লীগের নেতা হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধাকে ধাওয়া দিলে আফতাব মৃধার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়়। এসময় জাহাঙ্গীর মোল্লার কয়েক সমর্থকের বাড়ী ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুব্বর এলাকার লোকজন ডাকে। সেখানে আমার পক্ষের কিছু লোক যায় না। যে কারণে, সে ক্ষিপ্ত আছেন আমি তা আগেই জানতাম। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি মিটিংয়ে এলাকার লোক আসলে পরে আছাদ তাদের নিষেধ করে। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে এবং ১০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আছাদ মাতুব্বর সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করছে । আমি কোন গ্যাঞ্জামের পক্ষে না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য । জানতে পারি বাগবাড়ী দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধার উপর হামলা চালায় এরপর সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন চারটি বাড়ির বেড়া কেটে ফেলে। জাহাঙ্গীর মোল্লা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নুসরাত