
বাউফল থানা
বাউফলে ধুলিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতি এবং গণপিটুনিতে কবির (৩৫) নামের এক ডাকাত নিহতের ঘটনায় বাউফল থানায় পৃথক ২টি মামলা রজু হয়েছে। দুইটি মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের মোট ৪৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। এরমধ্যে ডাকাত নিহতের ঘটনায় বাউফল থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় ৩০-৪০জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে মামলাটি রজু করা হয়। (মামলা নম্বর-৮ তারিখ ১৫/০৩/২৫)। অপরদিকে তরমুজের ট্রলারে ডাকাতদের হামলা ও কুপিয়ে-পিটিয়ে জখমের ঘটনায় মো. শহিদুল মাতুব্বর বাদি হয়ে ৭-৮ জন অজ্ঞাত ডাকাতকে আসামি করে ২২৫ ও ৩৯৮ ধারায় একই দিন বিকেলে একটি মামলা রজু করেছেন। (মামলা নং ৭ তারিখ ১৫/০৩/২৫)।
প্রথম মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, শনিবার ভোর রাত সোয়া ৪টার দিকে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে একটি তরমুজবোঝাই ট্রলারে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতের হামলায় আহত ৩ ব্যক্তিসহ গণপিটুনিতে আহত এক ডাকাতকে বাউফলে নিয়ে আসেন। এরমধ্যে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আহত ডাকাত মারা যায়। পরে সিআইডি মৃতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিং করে পরিচয় নিশ্চিত হয় তার নাম কবির, পিতার নাম মফিজল বেপারী, বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া ৫নং ওয়ার্ডে।
অপর মামলায় বাদি মামলার এজহারে উল্লেখ করেন, তারা শনিবার গলাচিপা উপজেলার চর কপালবেড়া ৯নং ওয়ার্ড চরকাজল থেকে ১০হাজার পিস তরমুজ ক্রয় করে তা বিক্রির জন্য চাঁদপুর নেয়ার পথে বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীতে ৭-৮ জন ডাকাত হামলা করে তরমুজ লুটের চেষ্টা করে।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, নিহত ডাকাত কবিরের পরিচয় সনাক্তের পর তার বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার স্ত্রী লাশ গ্রহণ করেছেন।
শহীদ