
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আবু সাঈদের স্বপ্ন আগুনে পুড়ে ছাই মাত্র ১৫ দিন পর ঈদুল ফিতর এজন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার-দেনা করে প্রায় ৫ লাখ টাকা জমিয়ে দোকানের মালামাল কিনেছিলেন আবু সাঈদ। রোজার মাস শেষে যা আয় হবে তা দিয়ে কেনাকাটা হবে পরিবারের জন্য জামা কাপড় সহ ঈদের খরচ। সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাত তিনটার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর পেন্নাই গ্রামে ভয়াবহ আগুনে শুধু আবু সাঈদ এর দোকানই পুড়েনি, সঙ্গে ছাই হয়েছে পরিবার ও ছেলে মেয়েদের ঈদের আনন্দের স্বপ্ন।
আবু সাঈদ উপজেলার উত্তর পেন্নাই গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,পুড়ে ছাই হওয়া নিজের দোকানের দিকে অনেকটা বিমুর্ষ হয়ে তাকিয়ে আছেন আবু সাঈদ। আগুন লাগার সেই মুদি দোকানের দুটি ফ্রিজসহ মুদি ও কনফেকশনারী মালামাল গুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় রাজীব হোসেনসহ ভূক্তভোগীর পরিবার জানায়, গভীর রাতে হঠাৎ করে আগুন আগুন চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। এসে দেখি দাউ দাউ করে দোকানটা জ্বলছে। গ্রামবাসী মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কাঠ ও টিনের তৈরি দোকানটিতে আগুন নিভাতে ব্যর্থ হই। কি কারণে আগুন লেগেছে কেউ বলতে পারেনা। ফায়ার সার্ভিস গ্রামে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারবে না এজন্য ফায়ার সার্ভিস কে কেউ ফোন করেনি।
মুদি ব্যবসায়ী আবু সাঈদ জানান,আমি পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আল্লাহ আমাকে কি শাস্তি দিলেন, ঈদের আগে ধার দেনা করে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল উঠিয়েছি। সবকিছু পুড়ে ছাই।
আমার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল। পরিবার ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে এখন আমি কিভাবে সংসার চালাবো। আগুনের গ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত আবু সাঈদের স্বপ্নও যেন এখন ধূসর!
দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ইন্সপেক্টর এরশাদ হোসাইন বলেন, একটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেল, আমরা একটু খবরও পেলাম না। খবর পেলে অবশ্যই আগুন নেভানোর চেষ্টা করতাম।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইএনও) নাঈমা ইসলাম বলেন, আগুন লাগার বিষয়ে খবর পেয়েছি। একটি মুদি দোকান আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য যতটুকু পারি সহযোগিতা করব।
শিহাব