ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

সৈয়দপুরে মাড়োয়ারীর বাড়ি জবর দখলের চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সৈয়দপুর

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১৬ মার্চ ২০২৫

সৈয়দপুরে মাড়োয়ারীর বাড়ি জবর দখলের চেষ্টা

সৈয়দপুরে মাড়োয়ারীর এক ঐতিহাসিক  বাড়ি ভাড়ায় নেয়ার কথা বলে জবর দখলের চেষ্টা করছে ব্যাবসায়ী। এরই প্রতিবাদে শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে শহরের ১১ নং ওয়াডের দিনাজপুর সড়কস্থ নিজ বাস ভবনে ভুক্তভোগী সুশীল কুমার আগারওয়ালার পরিবাবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় সৈয়দপুর জেলা বিএনপিসহ অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে সুমিত কুমার আগারওয়ালা বলেন, এ শহরের গোড়াপত্তনের আগে থেকেই আমার পুর্বপুরুষরা বসবাস করে আসছেন। স্বর্গীয় বানিচাঁদ আগারওয়ালার ৪র্থ বংশধর আমরা। পৈতৃকসুত্রে পাই ৮৬ শতক ও ১৭১ শতক জমি ক্রয় করি। এছাড়া পৈতৃক সম্পত্তি বন্টনে কম পেয়েছেন বলে মহামান্য আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ১২১/১৮। ওই মালিকানাধীন জমির একটি অংশ হচ্ছে ওই পৈতৃক বাড়িটি। সেটি শহরের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আলতাফ হোসেন চুক্তিতে ভাড়ায় নেয়। এরপর থেকেই বাড়িটি গোডাউনঘর হিসাবে ব্যাবহার শুরু করে। তবে গত ৮ মার্চ তার কেনা সম্পত্তি বলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রায় তিন শতাধিক অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ওই জায়গাটি দখলে নেয়ার পায়তারা করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে ছেলেকে মারধর করেন সন্ত্রাসীরা।  

এছাড়া দুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে অপপ্রচার করেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। এ শহরের রেলের প্রায় শত কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করেছেন। তার বিরুদ্ধে রেল কতৃক মামলা চলমান রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে  ভুমি দস্যু হিসাবে খবর প্রকাশ হয়েছে।

 বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এ শহরে কোন অফিস ছিল না। এই বাড়িটি অস্থায়ী কার্যালয় হিসাবে ব্যাবহার হত। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুইবার এসেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রয়াত নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ কেন্দ্রীয় অনেক নেতা এই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। আজ এই ঐতিহাসিক বাড়িটি শহরের প্রানকেন্দ্রে হওয়ায় ওই প্রভাবশালীর কুনজরে পড়ে। তিনি বেদখলে নিতে মরিয়া হয়েছেন। এই বাড়ি নিয়ে মহামান্য আদারতে মামলা চলমান থাকলেও এর তোয়াক্কা করছেন না।  উল্টো নানা ভাবে হয়রানী করছেন।

এ সময় সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন, এই জমি নিয়ে মহামান্য আদালতে যেহেতু মামলা রয়েছে, তাই রায়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে। এর জন্য উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করতে হবে।

এ সময় স্বর্গীয় সুশিল কুমার আগারওয়ালের ২য় ছেলে অমিত কুমার কুমার আগারওয়ালা তার মাসহ জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো: শামসুল আলম, শেখ বাবলু, মো: শাহিন, এম এ পারভেজ লিটন, পারভেজ আলম গুড্ড, সাবিনা ইয়াসমিন মাশা, মোখলেছুর রহমান নেতৃবৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন।

মুমু

×