
বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে বরিশালের বাকেরগঞ্জে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্বপন খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ কাজে সহযোগিতা করছেন বিবাদী স্বপন খানের বোন জামাতা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবুল মুন্সি, বিহারীপুর গ্রামের মৃত দুলাল খানের পুত্র আলী খান, মৃত -মোতাহার আলী খানের পুত্র বাবুল খান, মৃত আজাহার আলী খানের পুত্র আলমগীর খান।
বিরোধী সম্পত্তিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক ইমারত নির্মাণ কাজ ও বেকু দিয়ে মাটি কেটে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আ: লতিফ খান ও স্বপন খান।
এদিকে এর প্রতিকার চেয়ে জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা দাবিদার আল -আমিন খান গত ১০ মার্চ বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জিলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহার মামলা নং-এমপি-৪৬৮/২০২৫।
জানা গেছে, উপজেলার জেএল ৪ নং ডিক্রিচর, সাবেক এস, এ খতিয়ান-১১৪/ ১৫৮, এস, এ দাগ নং-৯১৪/১৬৭৫/১৬৭৬ মোট জমি ২.৫৩ শতাংশ তার মধ্যে ৮৫ শতাংশ জমির জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মৃত আঃ রশিদ খানের পুত্র আল- আমিন খান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ওই ভূমিতে উভয়পক্ষের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু নির্দেশনা মানছে না বিবাদীপক্ষ। ওই পক্ষের স্বপন খান, বাবুল খান, আলি খান, আলমগীর খান, (১৫ মার্চ) বিরোধী জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে বাদীপক্ষ বাধা দিলে বিবাদীপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এছাড়া নির্বিঘ্নে কাজ শেষ করতে বিবাদীরা স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনকে ভাড়া করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাদী আল- আমিন খান বলেন, ভূমির মালিকানা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু বিবাদীরা আদালতের নির্দেশনা মানছেন না। জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ ও বেকু দিয়ে মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন। কাজ করার সময় ভাড়াটে লোকজনকে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিবাদীদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।
রাজু