
ছবি: সংগৃহীত
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন কাণ্ডে এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী বাবা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. রবিউল আলম (৫২)। তিনি আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
ওই ছাত্রীর বাবা জানান,তার ছোট মেয়ে ২০২৫ এইচএসসি পরীক্ষার্থী, এইচএসসি ফরম পূরণ এর কিছু টাকা কমানোর জন্য অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ রবিউল আলমের কাছে আবেদন করে। অধ্যক্ষ আমার মেয়েকে মোবাইল নম্বর দিয়ে পরে মোবাইল করতে বলেন। আমার মেয়ে গত ০৯ মার্চ তারিখে ইফতার ও নামাজের পরে আমার স্ত্রী ও বড় মেয়ের সামনে লাউড স্পীকার অন করে অধ্যক্ষকে ফরম পূরণের বিষয়ে ফোন করে। অধ্যক্ষ পরিচয় পাওয়ার পর আমার মেয়েকে রাতে দেখা করতে বলে। আমার মেয়ে তখন বলে, আমি মেয়ে মানুষ রাতে কিভাবে দেখা করি। তখন তিনি আমার মেয়েকে বলেন, এখনিতো তোমার দেখা করা উচিত, কারণ আমি এখন রোজা নাই। আমার মেয়ে এ কথা শুনার পর লজ্জিত হয়ে মোবাইল কেটে দেয়। আমি কাজ থেকে বাড়িতে আসলে বিষয়টি জানতে পারি।
পরদিন আমার মেয়ে কলেজে ফরম পূরণের জন্য গেলে অধ্যক্ষ উক্ত কলেজের প্রদর্শক জনাব মোঃ মঈদুল ইসলাম রব্বানীর সামনে বলেন, এই মেয়েটিকে গত কালকে আমি একটা কথা বলছি তাতে সে ভয় পেয়েছে। এরপর আমার মেয়ে উক্ত কলেজের বাংলা স্যার এবং কয়েক জন বন্ধুকে বিষয়টি অবহিত করে বাড়িতে চলে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান ‘স্যার আমাকেও একাধিকবার তার রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ইশারা ইঙ্গিত করেছেন।
এ ঘটনার পর থেকে ওই অধ্যক্ষ লাপাত্তা, তাকে বাড়িতে,অফিসে কোথায় পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন জাকির হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি, অভিযোগটি ডিসি বরাবর করা হয়েছে। তাই ডিসির কাছ থেকেই সিদ্ধান্ত আসবে।
জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, অভিযোগটি আমি পুলিশ সুপারকে দিয়েছি। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করবে।
শিলা ইসলাম