
ছবি: সংগৃহীত
গণপিটুনির শিকার অজ্ঞাত পরিচয়ের সেই ডাকাত (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দুপুর দেড়টায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জানাগেছে, শনিবার (১৫ মার্চ) ভোর রাতে তেঁতুলিয়া নদীর তালতলা পয়েন্ট থেকে ৭-৮জন ডাকাত একটি ইঞ্জিলচালিত ট্রলার নিয়ে ১০হাজার পিস তরমুজবোঝাই একটি ট্রলারের পিছু নেয়। একপর্যায়ে ডাকাতরা ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় কাছে তরমুজবোঝাই ট্রলারটি নিয়ন্ত্রনে নেয়। এসময় ডাকাতরা ৯জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তরমুজের ট্রলার থেকে এক ব্যক্তি এক ডাকাতকে ঝাপটে ধরে নদীতে ঝাপ দেয়। এঘটনার পর ডাকাতরা তাদের ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের ডাক চিৎকারে নদীর তীরবর্তী লোকজন জড়ো হয় এবং ঝাপটে ধরা ডাকাতকে গণপিটুনি দেয়। এতে ওই ডাকাত গুরুতর জখম হন।
খবর পেয়ে বাউফল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডাকাতসহ আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে আহত ওই ডাকাতকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন,“গণপিটুনিতে ওই ডাকাত অসুস্থ হয়ে পরায় তার নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।”
শহীদ