ছবি: সংগৃহীত
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নতুন নিয়ম চালু করেছে, যেখানে ট্রেনের টিকিট যাচাই করতে পয়েন্ট অব সেল (POS) মেশিন ব্যবহার করা হবে। কেউ অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ব্যবহার করে টিকিট কেটে ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই উদ্যোগকে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ বলা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদ্যমান পদ্ধতি পরিবর্তন না করলে এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।
বর্তমানে একজন ব্যক্তি তার এনআইডি ব্যবহার করে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কাটতে পারেন। এটি কালোবাজারিদের জন্য সুযোগ তৈরি করছে। প্রযুক্তির এই যুগে এটি অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক। শিশুদেরও জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকে, তাই প্রতিটি যাত্রীর জন্য এনআইডি বা জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক করা হলে কালোবাজারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এছাড়া, আন্তঃনগর ট্রেনের প্রতিটি বগিতে গার্ড থাকেন, যারা চাইলে এনআইডির সঙ্গে টিকিট যাচাই করে যাত্রীদের প্রবেশ করাতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে এই ব্যবস্থা যথাযথভাবে কার্যকর করা হচ্ছে না।
নতুন নিয়ম চালুর ফলে পরিবার নিয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও জটিলতা তৈরি হচ্ছে। ধরুন, একটি পরিবারের পাঁচজন সদস্য ট্রেন ভ্রমণ করতে চায়। কিন্তু একজন ব্যক্তির এনআইডির বিপরীতে চারটি টিকিট কাটা যাচ্ছে। অনেক কষ্টে ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কাটলেও দেখা যায়, একসঙ্গে পাঁচটি টিকিট পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে একজনকে অন্য এনআইডি ব্যবহার করে নতুন করে টিকিট কাটতে হয়, কিন্তু ততক্ষণে সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।
কালোবাজারি পুরোপুরি রোধ করতে হলে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতির সঙ্গে আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্রতিটি যাত্রীর জন্য আলাদাভাবে এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করতে হবে। একইসঙ্গে, একজনের এনআইডির বিপরীতে কেবলমাত্র একটি টিকিট কেনার সুযোগ রাখলে কালোবাজারি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আসিফ