
নগর দূষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে প্লাস্টিক বর্জ্য। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সেই প্লাস্টিকের খালি বোতল, পলিথিন জমা দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে ছোলা, খেজুর, চিড়া, মুড়ি, আলু, পেঁয়াজ ও ডিম। চট্টগ্রাম মহানগরীতে চালু করা হয়েছে ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার’। সেখানে প্লাস্টিক বিনিময় করে ভোগ্যপণ্য গ্রহণ করছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারে এ কর্নারের নতুন বুথ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এর আগে চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারেও প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার স্থাপন করা হয়। পর্যায়ক্রমে করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ এক্সচেঞ্জ কর্নার চালু করা হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ রোধ করে পরিবেশ রক্ষায় এই উদ্যোগ নিয়েছে ‘ক্লিন বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ক্লিন বাংলাদেশের এ উদ্যোগে সার্বক্ষণিক সহায়তা দেবে সিটি করপোরেশন।
ক্লিন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিাতা শওকত হোসেন জনি বলেন, আমরা শহরকে প্লাস্টিক ও পলিথিনমুক্ত করতে চাই। সে জন্য এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ক্লিন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিশাদ বলেন, তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই পরিবর্তন হবে আমাদের লাল সবুজের বাংলাদেশ। প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নারের মাধ্যমে শুরু হোক পরিবর্তন ও সচেতনতা। বক্তব্যে তিনি প্লাস্টিক ও পলিথিন যত্রতত্র না পেলে এগুলো জমা দিয়ে নিত্যপ্রয়োনীয় ভোগ্যপণ্য সংগ্রহের জন্য অনুরোধ জানান। পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন শুক্র ও শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।