
ছবি: প্রতীকী
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শতাধিক স্পটে বাড়ছে মাদক বিক্রি । উঠতি বয়সী তরুন ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা মাদক সেবনের সাথে বেশি জড়িত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে উপজেলার সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়ীদের ছোবল। সমপ্রতি নাঙ্গলকোট বাজারের ১৩টি পয়েন্টে মাদক কেনাবেচা চলে । এ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত রয়েছে প্রভাবশালী রাজনীতিক সিন্ডিকেট।
নাঙ্গলকোট বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা প্রকাশ্যেই চলছে মাদক সেবন। মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়ছে কিশোর-তরুণ ও বয়স্করা। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানান অপরাধ। এতে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। পুলিশের বলছে, মাদক নির্মূলে চেষ্টা চলছে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। মাদকদ্রব্য কেনাবেচা ও সেবন রোধে প্রণীত ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’-এ মাদকাসক্ত শনাক্তে পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করার বিধান রাখা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মাদকাসক্ত ব্যক্তি শনাক্তের জন্য মাদকাসক্তি পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট করতে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করার কথা। চালকদের মাদক থেকে রক্ষা এবং সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ডোপ টেস্ট করা প্রয়োজন।
গোপন সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রায় ১৮ জন মাদকের বড় ডিলার রয়েছেন। যারা বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করে উপজেলায় মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। এদের মাধ্যমে নাঙ্গলকোট পৌর সদরসহ উপজেলার শতাধিক স্পটে মাদক বিক্রি করছেন।
এর মধ্যে রয়েছে পৌর সদরের মুচিবাড়ি, বটতলা সিএনজি স্ট্যান্ড, বাঙ্গড্ডা বাজার , পরিকোট ব্রিজ, মন্নরা বাজার,, চিলপাড়া ব্রীজ, বক্সগঞ্জ বাজার ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা, ভোলাইন বাজার , মক্রবপুর বাজার , মাহিনী তালতলা বাজার , শান্তির বাজার ,মৌকরা বাজার নার্সারী সংলগ্ন, খিলা রোড সিএনজি ষ্টেশন রোড, ঢালুয়া বাজার , হাচানপুর রেলষ্টেশন, নাঙ্গলকোট গোত্রশাল রেলগেইট, গোমকোট বাজার সহ প্রায় শতাধিক স্থানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মদ, ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক।
নাঙ্গলকোট উপজেলাটি চৌদ্দগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় হ্ওয়া বিভিন্ন কৌশলে এই উপজেলায় মাদক ঢুকছে। এসব কাজে জড়িত বেশ কয়েকজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। যাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। এর মধ্যে অনেকে আটক হলেও জামিনে বেরিয়ে পুনরায় মাদকের কারবার শুরু করেন। মাঝেমধ্যে ছোট মাদক ব্যবসায়ীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন রাঘববোয়ালরা।
এদিকে মাদকের টাকা জোগাড় করতে সেবনকারীরা জড়িয়ে পড়ছে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। স্থানীয়রা বলেন, হঠাৎ করে নানা ধরনের মাদক এলাকায় ছেয়ে গেছে। পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।
নাঙ্গলকোট বাজার ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, প্রতি সোমবার ও শক্রবার সপ্তাহ দুই দিন নাঙ্গলকোট বাজার বসে। আমরা দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়িতে রওয়ানা দিলে একদল চিনতাই কারীরর কবলে আমাদেরকে সর্বস্ব হারাতে হয় এদের অধিকাংশ মাদক সেবনকারী । আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন ধরণের তদারকি না থাকায় মাধক ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সখ্যতা থাকায় বুক ফুলিয়ে এ সব মাদক কারবারীরা ব্যবসা করে যাচ্ছে । এতে ধবংস হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণরা।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ,কে,ফজলুল হক বলেন, মাদকের বিষয়ে ছাড় নেই। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। মাদক কারবারি যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক কারবারীদেও ধরতে আমার কাজ করে যাচ্ছি।
শহীদ