
ছবি: সংগৃহীত
বরিশাল নগরীতে রমজান উপলক্ষে তরমুজের বিপুল সরবরাহ থাকলেও খুচরা বাজারে মূল্য নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। পেশাদার ফল বিক্রেতাদের পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও তরমুজ বিক্রি করছে।
তবে, তরমুজের ব্যাপক আমদানির পরেও খুচরা বাজারে দাম কমছে না। গত কয়েকদিন ধরে তরমুজের আমদানি বাড়লেও বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না বিক্রেতারা। ক্রেতারা অভিযোগ করেন, আমদানির পরিমাণ ভালো হওয়ায় দাম সুলভ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
পোর্টরোডের আড়তদার শাকিল সিকদার জানান, মৌসুমের শুরুর দিকে তুলনামূলকভাবে দাম বেশি ছিল, তবে এখন দাম কমতে শুরু করেছে। তবে খুচরা বাজারে কেজি দরে বিক্রির কারণে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর সাগরদী হাউজিং এলাকার ফল বিক্রেতা এনায়েত শেখ বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কম হলে তবেই খুচরা বাজারে সস্তা বিক্রি করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বাজারে তরমুজের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বরিশাল উপকূলীয় অঞ্চলের তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারের মৌসুমে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৪৯ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৩% বেশি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। যেখানে ২৭ হাজার ৪৯ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। সামগ্রীকভাবে তরমুজের বাজারে ভালো চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থা আরো কার্যকর হওয়ার দাবি করেছেন ক্রেতারা।
শহীদ