
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ভবন
বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এ বছরের ইজারা প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। ফলে রাজস্ব আয় বেড়েছে ব্যাপকভাবে। একরাতে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অত্যন্ত বেশি। এবারের ইজারা প্রক্রিয়া ছিলো সম্পূর্ণ স্বচ্ছ। আগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ইজারা আয় ছিলো সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তবে এবার ইজারা বাবদ আয় হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। যা মূলত হাট-বাজার, পুকুর, বাসস্ট্যান্ড এবং শৌচাগারের বার্ষিক লিজ প্রদান বাবদ অর্জিত হয়েছে।
বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে কেন এতো কম রাজস্ব আয় হয়েছিলো তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। গত বছরের তুলনায় এবারে হাট-বাজারগুলোর ইজারা অনেক বেশি দামে হয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, বরিশাল জেলা পাইকারী মৎস্য বাজার থেকে গতবছর আয় হয়েছিলো ১০ লাখ টাকা। এবার তা ইজারা হয়েছে ৭০ লাখ টাকায়। একইভাবে রূপাতলী হাউজিং বাজারের ইজারা বেড়ে ২০ লাখ টাকা হয়েছে। যা পূর্বে ছিলো ৭৪ হাজার টাকা। বিসিসি প্রশাসক রায়হান কাওছার বলেন, আমরা আইনের বাস্তবায়ন করেছি এবং কৌশল করে টেন্ডার ড্রপিং পয়েন্ট বাড়িয়ে দিয়েছি। ফলে আগে যেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতো, সেখানে এবারে ছিলো শান্তি। এখন একে অপরকে দোষারোপের পরিবর্তে সরকার এবং জনগণ সমানভাবে উপকৃত হচ্ছে।
এছাড়া এবার বিপুল সংখ্যক দরপত্র ফরম বিক্রি হয়েছে। যার পরিমাণ ছিলো সাতশ'টি, যা বিগত ১৫ বছরে সর্বোচ্চ। এবছরের আয়ের পুরো প্রক্রিয়া ছিলো আগে যা ঘটতো তার বিপরীত।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে। আগামীতে ই-টেন্ডার চালু করার কথা ভাবছি, যাতে ভবিষ্যতে আরও স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
শহীদ