ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

সাদা পোশাকে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি, জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ১২ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৯:০৫, ১২ মার্চ ২০২৫

সাদা পোশাকে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি, জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন শপিংমলে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটার মহোৎসব। বিভিন্ন শপিংমলসহ ফুটপাতের ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে, শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার উপস্থিতি দেখা গেছে। এবার ভালো ব্যবসা হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নিউ মার্কেট, চকবাজার, হাজী শরিয়াতুল্লাহ বাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে পছন্দমতো পোশাক কিনছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন ঈদবাজার করতে।ব্যবসায়ীরা জানান, গত দুই ঈদের তুলনায় এবারে হয়তো ভালো ব্যবসা হবে। আমরা যে পণ্যগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি তা ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে।

তারা বলেন, এবছর রোজার শুরুতেই ব্যবসা জমতে শুরু করেছে। ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষেরা বেশ কেনাকাটা করছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে এসব মার্কেটে বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। কেনাকাটায় নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরাও নেই পিছিয়ে। তাছাড়া নিত্য-নতুন ডিজাইনের ঝলেমলে বাহারি পোশাক চলে আসায় কাস্টমারদের চাহিদা বাড়ছে।

নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, বেচাকেনার শীর্ষে রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, শার্ট-প্যান্ট, মেয়েদের শাড়ি, চুড়ি, থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক সামগ্রী ইত্যাদি।

এবার রমজানে শুরুর দিক থেকেই প্রায় সব দোকানে বেচাকেনা ভালো।চকবাজার কাপড়পট্টির সত্য নারায়ন বস্ত্রালয়ের সত্ত্বাধিকারী জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর বেচাকেনা অনেক ভালো। তবে নিম্নবিত্তদের বেশিরভাগের ভরসা ফুটপাত।

অটোচালক এক ক্রেতা জানান, ফুটপাতে যে পণ্যটি তিনশ থেকে চারশ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, অভিজাত মার্কেটে সেটির দাম অনেক বেশি।

এদিকে শহরের আদর্শ মার্কেট ও নিউ মার্কেটের সামনে বিভিন্ন ভাসমান দোকান এবং গোয়ালচামটের বাইতুল মোকাদ্দেম মার্কেট, জনতা ব্যাংকের মোড়ে অস্থায়ী কিছু দোকান ও আশপাশের দোকানগুলোয় ভালো বেচাকেনা হতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি শহরের মোবাইল ফোনের দোকানগুলোয়ও বেচাকেনা তুলনামূলক ভালো হচ্ছে।

অন্যদিকে শহরে জুতার দোকানগুলোয় বেচাকেনা বাড়ছে। দোকানিরা বলছেন, সর্বনিম্ন ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি হচ্ছে, যাতে সাধারণ লোক সব ধরনের প্রোডাক্টগুলো কিনতে পারে।

বোয়ালমারী থেকে আসা দুবাই প্রবাসী আব্দুল আহাদ মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারের পণ্যের পসরা বেশ, কিন্তু তুলনামূলক দাম একটু বেড়েছে।

রমজানে কেনাকাটা করতে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দিন যত যাবে, মার্কেটে ভিড় তত বাড়বে, এর বাইরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব একটা সুবিধাজনক না, আর এই কারণেই কেনাকাটা আগেভাগে শেষ করতে চাচ্ছি।সব মিলে ফরিদপুরের ঈদের বাজার চাঁদ রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা‌।

এবারের ঈদের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কেনাকাটার নিরাপত্তার নিশ্চিত করার প্রসঙ্গে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, আমরা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক শহরে যতগুলো বিপণিবিতান রয়েছে, সব জায়গাতেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিয়েছি। কোনো প্রকার ছিনতাই-রাহাজানি না হয় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। সাদা পোশাকে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি সব বাজারেই জোরদার করা হয়েছে।

আফরোজা

×