
অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ। ছবিঃ সংগৃহীত
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আব্দুল হামিদ এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। দুপুরে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ গ্রহনের সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ গাজী। আব্দুল হামিদ পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা গ্রামের মৃত জাবেদ সরকারের ছেলে।
জানা গেছে, আজ দুপুরের দিকে অষ্টমনিষা ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের হোসেন প্রামানিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম তার ৬ শতাংশ জমি খাজনা খারিজ করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসেন। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতি দলিলে ১১শ ৫০ টাকা নেওয়ার বিধান থাকলেও ইউনিয়ন ভূমির অফিস সহায়ক আব্দুল হামিদ তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এর কম হলে কাজ হবেনা বলে জানান। ভুক্তভুগি রফিকুল তখন উপায়ান্তর না পেয়ে অনুরোধের মাধ্যমে আব্দুল হামিদকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দেন। এ সময় দরজার বাইরে থেকে বিষয়টা দেখতে পান অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ গাজী। তৎক্ষণাৎ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নূর ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে আব্দুল হামিদকে ঘুষ নেয়ার বিষয়ে বললে তিনি তার ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগী রফিকুলকে টাকা ফেরত দিয়ে দেন। সেই সাথে বিষয়টা আর কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ গাজী বলেন, আমাদের ইউনিয়নে কোন দূর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর ভূমি কর্মকর্তাদের স্থান নেই। কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই দূর্নীতিবাজ ও ঘুষখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমাদের অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এ বিষয়ে অফিস সহায়ক আব্দুল হামিদ বলেন, টাকা নেওয়াটা আমার ভুল হয়েছে। তবে পরে আমি টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: সুলতান হোসেন বলেন, সে সময় আমি অফিসে ছিলাম না তবে ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমার অফিস সহায়ক কে সতর্ক করেছি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আসলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আরো জানা যায় প্রতিটি ভূমি অফিসে এ প্রথা চালু আছে। উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মচারীরা প্রকাশ্যে লোকালয়ের মধ্যে টাকা লেনদেন করে থাকেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। সরকারি বিধানের বাইরে কোন অর্থ আদান প্রদান করা যাবেনা। তবে কেউ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুমু