ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

ইঁদুরের গর্তে ভয়ানক রহস্যের সন্ধান পাওয়া গেল!

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ১২ মার্চ ২০২৫

ইঁদুরের গর্তে ভয়ানক রহস্যের সন্ধান পাওয়া গেল!

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ট্যাকের ঘাট এলাকা দীর্ঘদিন ধরে রহস্য ও চোরাচালানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে। এই এলাকার ওপারেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য, যেখানে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা কয়লা খনির সন্ধানে প্রতিদিন বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রবেশ করে। দূর থেকে দেখলে পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য ছোট ছোট গর্ত দেখা যায়, যেগুলো আসলে কয়লা উত্তোলনের পথ। এসব গর্তের ভেতরে ঢুকে শ্রমিকরা অবৈধভাবে কয়লা সংগ্রহ করে এবং তা চোরাচালানের মাধ্যমে এপারে নিয়ে আসে।

রাতের অন্ধকারে ভারতীয় সীমান্তে বসানো কাটাতারের বেড়া ও লাইটের পাশ দিয়ে অবৈধ কয়লা ব্যবসা পরিচালিত হয়। বারেক টিলা হয়ে ট্যাকের ঘাট এলাকায় পৌঁছালে দেখা যায়, গাড়ি চলাচলের রাস্তা শেষ হয়ে গেছে। এরপর বিকল্প বাহনে নদী ও টিলা পার হতে হয়, যেখানে ছোট ছোট নৌকার অপরূপ দৃশ্যের বিপরীতে ভয়ংকর বাস্তবতা লুকিয়ে আছে।

বর্ষাকালে এই এলাকার নৌপথ সচল থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে সুনামগঞ্জের সঙ্গে সরাসরি কোনো গাড়ি যোগাযোগ থাকে না। ফলে সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলায় তিনটি শুল্ক স্টেশন থাকলেও, যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় বাণিজ্য কার্যক্রম থমকে গেছে। ১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া পরচরা, বাগলি ও ছাড়াগাঁও শুল্ক স্টেশনগুলোর ব্যবসায়ীরা সড়ক সংযোগের অভাবে অন্য বন্দরগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

এক ব্যবসায়ী বলেন, “তামাবিল ও সুতারকান্দির মতো স্থলবন্দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যবসা করা আমাদের জন্য কঠিন। আমাদের মূল ব্যবসার মৌসুম জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ। কিন্তু রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় আমরা ঠিকমতো কয়লা বিক্রি করতে পারি না।”

সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে বৈধ বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং এর সুযোগ নিচ্ছে চোরাচালান চক্র। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি আরও ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=aSnMYu4joOA           

নুসরাত

×