ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

যে কারনে স্বাধীনতা পুরস্কার থেকে বাদ পড়ল জেনারেল ওসমানীর নাম

প্রকাশিত: ১২:১৬, ১২ মার্চ ২০২৫

যে কারনে স্বাধীনতা পুরস্কার থেকে বাদ পড়ল জেনারেল ওসমানীর নাম

ছবি:সংগৃহীত

এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়েছে এবং চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম রাখা হয়নি। 

 

 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৯৮৫ সালে এম এ জি ওসমানী স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন, তখন তিনি বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে সম্মানিত হন। এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তার নাম আলোচনা করা হলেও, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একবারের বেশি দেওয়া হয় না। ফলে, তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছে।

 

 

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদও একই কথা জানিয়েছেন, তিনি বলেন, এম এ জি ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন, এবং দ্বিতীয়বার এই পুরস্কার দেওয়া হয় না, তাই তার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

এছাড়া, ১৯৮৫ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয় জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে, যা ছিল তার অসাধারণ অবদানের জন্য। এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রথম তালিকায় ভুলক্রমে তার নাম স্থান পেয়েছিল, তবে তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।

 

 

এবার স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতজন বিশিষ্টজনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
সাহিত্যে: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
সংস্কৃতিতে: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
সমাজসেবায়: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান (আজম খান) (মরণোত্তর)
শিক্ষা ও গবেষণায়: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
প্রতিবাদী তারুণ্যের প্রতীক: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)

 

 

এছাড়া, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে, অর্থাৎ তাকে দেওয়া স্বাধীনতা পুরস্কার বহাল রাখা হয়েছে। ২০০৩ সালে তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল।

আঁখি

×