
মানববন্ধন
তিস্তাপাড়ের মানুষের অনাবাদি জমি চাষযোগ্য করা ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য ‘বালুমহাল’ খুলে দেওয়াসহ ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি বাজারে সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালিন বক্তব্য রাখেন, ডা. মিজানুর রহমান মজনু, সাইদুর রহমান বিপ্লব, কাজী রফিকুল ইসলাম সোহাগ, জাফর হোসেন জাকির প্রমুখ।
এসময় তিস্তা তীরবর্তী জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। বক্তারা বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বহু মানুষ বেকারত্বে ভুগছে। অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আনতে পারলে কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটবে এবং স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে ‘বালুমহাল’ খুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তারা।
বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা এসব সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, কিন্তু এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তারা সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
দফা দাবির মূল বিষয়গুলো হলো- অনাবাদি জমিকে চাষযোগ্য করার উদ্যোগ নেওয়া, শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বালুমহাল চালু করে শ্রমজীবী মানুষদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা।
স্থানীয়রা জানান, ১৯ কিলোমিটার জুড়ে প্রায় এক হাজার কৃষকের জমিতে তিস্তার বাঁধ ভেঙে বালু প্রবেশ করায় জমিগুলো অনাবাদী হয়ে পড়েছে। তাদের দাবিগুলো পূরণ হলে তিস্তা পাড়ের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে এবং বেকারত্ব কমবে।
এদিকে বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১১ টায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নীলফামারী ডিসি অফিসে গণ শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে তিস্তাপাড়ে এমন কর্মসূচি পালন করলো এলাকাবাসী।
শহীদ