
ছবি: সংগৃহীত
দেশের সর্ববৃহৎ ইফতার মাহফিলের জন্য ২৫০ কেজি ছোলা, ১৫০ কেচি চিড়া, ২৮০ কেজি আলু, ২২২ কেজি ময়দা, ৪০ কেজি খেজুর, ২০০ কেজি চিনি, ৯৬ কেজি তেল, ৬০০ পিছ ডিম, ৬০০ পিছ কলা, ১১০ কেজি সুজি লাগে প্রতিদিন। এতে প্রতিদিন খরচ হয় প্রায় ২লাখ ৬০ হাজার টাকা। এই বিশাল আয়োজন শেষে ইফতারি করানো হয় প্রায় ৬ হাজার মানুষকে।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উপজেলার নলতার খানবাহাদুর আহসানুল্লাহ রওজা শরীফ চত্ত্বরে। নলতা কেন্দ্রিয় আহসানিয়া মিশনের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ থেকে ৬ হাজার রোজাদার এখানে ইফতার করেন। ফকির মিসকিন গরিব-ধনী। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখানে আসেন ইফতার করতে।
১৯৩৫ সালে খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ নলতা কেন্দ্রিয় আহসানিয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে প্রতি বছর রমজানে এখানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করতেন । তার মৃত্যুর পর নলতা কেন্দ্রিয় আহসানিয়ার ব্যবস্থাপনায় রওজা চত্বরে বিশাল ছাওনি নির্মাণ করে এই আয়োজন করা হয়। দিন দিন এই আয়োজনের পরিধি বেড়েই চলছে।
প্রতিদিন সকাল থেকে ইফতার তৈরি বিশাল কর্মজজ্ঞ শুরু হয়। ৩০-৪০ জন মানুষের মধ্যে কেউ করেন ছোলা তৈরির কাজ, আবার কেউ করেন ডিম সেদ্ধ, আবার অনেকেই অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন।
এই বিষয়ে আয়োজন কমিটি বলেন, পূর্বে আমরা প্রায় ১০হাজার মানুষের ইফতার দিতাম বিভিন্ন মসজিদে। এখন দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে আমরা শুধুমাত্র নলতা শরীফে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
নলতা কেন্দ্রিয় আহছানিয়া মিশনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এখানে প্রায় সাড়ে ৫হাজার থেকে ৬হাজার মানুষ প্রতিদিন ইফতার করেন। সাতক্ষীরা জেলাসহ আশেপাশে জেলা থেকে ইফতার করতে এখানে মানুষ আসেন। প্রায় ২লক্ষ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয় প্রতিদিন। এই টাকা আহসানিয়া মিশনের বিভিন্ন ভক্তবৃন্দ দিয়ে থাকেন।
নলতা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান বলেন, খান বাহাদুর (রহ.) ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং আল্লাহর অলি। তার মুল লক্ষ্য ছিল স্রষ্টার এবাদত। এই ইফতারের আয়োজন তিনি শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর এটা আহছানিয়া মিশনের কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
শহীদ