
ছবি: সংগৃহীত।
আনুষ্ঠানিকভাবে চা পাতা চয়ন শুরু হয়েছে। সোমবার(১০ মার্চ) সকাল ১০টায় বাগানের ৩ নং সেকশনে ন্যাশনাল টি কোম্পানির পরিচালক ও শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের স্বত্তাধিকারী শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু এ মৌসুমের প্রথম ব্যক্তি মালিকানাধীন শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানে পাতা চয়নের উদ্বোধন করেন।
সাধারণত ডিসেম্বরে মৌসুমের শেষে চা-গাছ ছাঁটাই বা কলমের পর নিয়মানুযায়ী দুই-তিন মাস চা-বাগানে চা-পাতা উৎপাদন বন্ধ থাকে। ফলে চা-কারখানাও অলস থাকতে হয়। সেচ সুবিধা ও বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন কুঁড়ি গজানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে চা-পাতা চয়নের মাধ্যমে শুরু হয় চায়ের উৎপাদন।
শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানে নতুন পাতা চয়ন উদ্বোধন শেষে বাগানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রশান্ত কুমার সরকার জানান, বাগানে দোয়া মাহফিল এবং চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে গীতাপাঠসহ পূজা-অর্চনার মাধ্যমে চায়ের কচি পাতা দুহাত ভরে উত্তোলন করছেন চা শ্রমিকরা।
তিনি আরো জানান, এ বছর জাতীয় ভাবে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১০৩ মিলিয়ন কেজি বা ১০ কোটি ৩০ লক্ষ কেজি নির্ধারন করা হয়েছে।
চা-বাগানের ম্যানেজার পাবেল বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবং শ্রমিকদের আন্তরিকতায় এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা চা উৎপাদন সম্ভব হবে। আমাদের বাগানে সব সময়’ই কোয়ালিটি চা উৎপাদন করে থাকি। এবছরও এর ব্যাতিক্রম হবে না।
শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের স্বত্তাধিকারী মোঃ মহসিন মিয়া মধু বলেন, আমরা চা উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি মনোযোগি কোয়ালিটি চায়ের উপর। আমার স্টাফদের বলেছি কোয়ালিটি চা উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য। চায়ের মান বাড়ানোর জন্য আমরা প্লুনিং করেছি, এবং চা গাছের সর্বোচ্চ পরিচর্যা করিয়েছি। এজন্য এবার আমরা টার্গেট করেছি নয় লাখ কেজি চা উৎপাদনের। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেটা সম্ভব ।
মহসিন মিয়া মধু বলেন, মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে সুসম্পর্কে থাকলে একটি শিল্প অনেক এগিয়ে যায়,এতে মালিকের পাশাপাশি শ্রমিকরাও উপকৃত হন। অপরদিকে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর মাধবপুর চা বাগানসহ অন্যান্য চা বাগানে নতুন পাতা চয়ন শুরু হয়েছে।
নুসরাত