
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলার আসামী আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হাওলাদারকে পুলিশ হেফাজতে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে মাদারীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে করে এই অভিযোগ করেন জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান।
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘মাদারীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত তাওহিদ সন্নামাত হত্যা মামলার আসামী আক্তার হাওলাদারকে কোর্ট পুলিশের গারদে থাকা অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করতে দিয়েছেন এবং দলীয় কর্মীদের সাথে মিটিং করার সুযোগ দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান। সেই মোবাইল থেকে জেলা ক্রিকেটদলের অধিনায়ক রুবেল হাওলাদারকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। ৯ মার্চ গারদে থাকাবস্থায় আসামী আক্তার হাওলাদার মোবাইল ফোনে আমার ভাই রুবেল হাওলাদারকে মেরা ফেলার হুমকি দিয়েছে। গারদে থাকা আসামি কিভাবে ফোন করে মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে?
এ ঘটনা আমরা সদর থানায় একটি জিডি করতে গেলে ওসি জিডি নেননি। পরে পুলিশ সুপার এবং ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আক্তার হাওলাদার হত্যা মামলায় জেলখানায় থাকা আসামী। কোর্টে হাজিরা দেয়ার সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় সে দলীয় কর্মীদের সাথে কিভাবে মিটিং করেন? তাকে কেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া হলো? আমি কোর্ট ওসি আনিসুর রহমানের বিচার চাই। কর্তৃপক্ষ যদি তার বিচার না করে তাহলে আগামীতে ছাত্রদের নিয়ে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রুবেল হাওলাদার, স্থানীয় সাকিল মুন্সি, আলী হোসেন, হাসান মুন্সিসহ অনেকেই।
অভিযোগ অস্বীকার করেন মাদারীপুর জজ কোর্টের পরিদর্শক আনিসুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া এবং নেতা কর্মীদের নিয়ে মিটিং করছে কিনা আমার জানা নেই।’ মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আফরোজ