
ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের হায়দরনগর গ্রামে চাচির ভাতিজার সঙ্গে উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম— সর্বত্রই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা গেছে, হায়দরনগর গ্রামের মো. হাসানের ছেলে মো. মাহবুব হাসান আড়াই বছর আগে পার্শ্ববর্তী আশ্রাফবাদ গ্রামের এক তরুণীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। তিনি বাঞ্ছারামপুরের একটি বেসরকারি বীমা কোম্পানিতে কর্মরত। স্বামীর কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে তার আপন চাচাত ভাই, ট্রলি চালক মো. রিফাতের সঙ্গে স্ত্রী আফরোজার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ মার্চ, রমজানের দ্বিতীয় দিন, ইফতারের পর নগদ তিন লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ভাতিজা রিফাতের হাত ধরে পালিয়ে যান আফরোজা। এরপর থেকে তাদের দুজনের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
মাহবুব হাসান জানান, "দাম্পত্য জীবনে কোনো অভাব ছিল না। অথচ স্ত্রী আমার সঞ্চিত টাকা, গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি ওকে ফেরত চাই না, শুধু আমার টাকা ও স্বর্ণ ফিরে পেতে চাই।" স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের আয়োজন করলেও আফরোজার পরিবারের কেউ তাতে উপস্থিত হয়নি।
এ বিষয়ে আফরোজার মা নাছিমা বেগম বলেন, "কী মেয়ে পেটে ধরেছি! এমন মেয়েকে নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন করবেন না। ও কোথায় আছে, আমি কিছু জানি না।"
এদিকে, রিফাত ও আফরোজার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। স্থানীয় থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এম.কে.