
নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সুরুজ গাজীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সদ্য বহিস্কৃত একই ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহিন সরদার ওরফে সোনা শাহিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
রবিবার দুপুরে র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, যুবদল নেতা সুরুজ গাজী হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন সরদারকে ঢাকার সবুজবাগ থানার মাদারটেক কাঁচাবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এরপূর্বে রবিবার সকালে নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার বড় মসজিদের সামনে যুবদল নেতা সুরুজ গাজী হত্যা মামলার সকল আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত সভায় নিহত সুরুজ গাজীর স্ত্রী সুমি আক্তার তার একমাত্র তিন বছরের শিশু পুত্রের ভবিষ্যতের কথা উল্লেখ করে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
নিহত সুরুজ গাজীর ভাই শাহিন গাজী তার বক্তব্যে মামলার সকল আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক উলফাত রানা রুবেল, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সিরাজ মৃধা, সদস্য সচিব শহীদুল হাওলাদার, ওয়ার্ড যুব দলের আহবায়ক আব্দুর রহমান, সদস্য সচিব বেল্লাল ফরাজী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শাহিন সরদার ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি ও সোনা প্রতারনার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
একই ওয়ার্ডের যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সুরুজ গাজী এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করে আসছিলেন।
এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২ মার্চ রাতে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে সুরুজ গাজীকে হত্যা ও অপর যুবদল নেতা নয়ন হাওলাদারকে গুরুত্বর আহত করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী শাহিন সরদারের বসত ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার একদিন পর দলীয় পদ থেকে শাহিন সরদারকে বহিস্কার করা হয়।
রাজু