
ছবি: সংগৃহীত।
চাঁদপুর পৌরশহরে গ্যাসের লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৯ মার্চ) ভোরে পৌরশহরের কোরালিয়া রোডের একটি ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পরপরই আহতদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
দগ্ধদের মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসাধীনরা হলেন— ফল ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান সরদার (৬৫), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫৫), পুত্রবধূ খাদিজা আক্তার (৩২) এবং ছোট ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী মাহবুবুর রহমান মুহিন (১৮)। এছাড়া চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আব্দুর রহমানের বড় ছেলে ইমাম হোসেন সরদার (৩৫) ও মেঝ ছেলে মিরাজের স্ত্রী নুসরাত জাহান নিবা (২১)।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, আব্দুর রহমানের শরীরের ১৮ শতাংশ, শাহনাজের ২০ শতাংশ, খাদিজার ৮৫ শতাংশ এবং মুহিনের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। বিশেষ করে খাদিজার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
দগ্ধদের পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ মিরাজ জানান, বাসাটিতে তার বাবা-মা, বড় বোন, বোনের সন্তান, বড় ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই সন্তান, মিরাজ নিজে ও তার স্ত্রী এবং ছোট ভাই একসঙ্গে বসবাস করেন। ঘটনার সময়, ভোর ৪টা ২০ মিনিটে, তারা সবাই সেহরির জন্য ঘুম থেকে উঠছিলেন। রান্না আগেই করা ছিল, কিন্তু যখন মিরাজ তার বড় বোনকে ডাকতে যান, তখনই হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। ভাগ্যক্রমে মিরাজ, তার বড় বোন এবং তিন শিশু অক্ষত থাকতে সক্ষম হন। পরবর্তিতে আগুন নিভিয়ে তাদেরকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক ৪ জনকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বাকি দুজনকেও ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। রান্নার চুলা থেকে গ্যাস লিকেজ হওয়ায় এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে তার ধারণা।
সায়মা ইসলাম