ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

তিস্তা মহাপরিকল্পনার গণশুনানি শুরু আজ, চলবে ৫দিন

তাহমিন হক ববী, স্টাফরিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ৯ মার্চ ২০২৫

তিস্তা মহাপরিকল্পনার গণশুনানি শুরু আজ, চলবে ৫দিন

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলায় তিস্তাপাড়ে শুরু হচ্ছে গণশুনানি। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের চায়না পাওয়ার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড গণশুনানির মাধ্যমে মহাপরিকল্পনার সমীক্ষা চুড়ান্ত করবেন। আজ রবিবার (৯ মার্চ) থেকে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত ৫ দিন টানা চলবে এই গণশুনানি।

পাঁচদিন ব্যাপী গণশুনানির মধ্যে প্রথম দিন আজ রবিবার গাইবান্ধায়, দ্বিতীয় দিন সোমবার (১০ মার্চ) রংপুরে, তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (১১ মার্চ) লালমনিরহাটে, চতুর্থ দিন বুধবার (১২ মার্চ) নীলফামারীতে ও পঞ্চম ও শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কুড়িগ্রাম জেলার স্ব-স্ব জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরাসরি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এই গণশুনানিতে চীনের পাওয়ার চায়না কোম্পানির প্রতিনিধিরা তিস্তা নিয়ে করা তাদের পূর্বের সমীক্ষা তুলে ধরবে। যেখানে সরাসরি মত-দ্বিমত প্রকাশ করবে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা ছাড়াও তিস্তা নিয়ে কাজ করছে এমন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। এখানে বিশেষ করে গুরুত্ব পাবে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের চাওয়া পাওয়া।

অধিকারকর্মীদের প্রত্যাশা অন্তবর্তী সরকারের হাত ধরেই ঝুলে থাকা তিস্তা মহাপরিকল্পনা আলোর মুখ দেখবে। তারা বলছেন চলতি বছরের গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদী রক্ষায় করণীয় রংপুরের কাউনিয়ায় বিশেষ গণশুনানিতে পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন- তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে একমাত্র তিস্তা অববাহিকার বাসিন্দাদের চাওয়া পাওয়ার উপর। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে মধ্যে তা চুড়ান্ত করা হবে। কি থাকবে কি থাকবে না এটা শুনার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চীনের পাওয়ার চায়না কোম্পানিকে নিয়ে আপনাদের কাছে আসবে ও শুনবে। তার বক্তব্যের এক মাস পর তিস্তা মহাপরিকল্পনার সমিক্ষা চুড়ান্ত করতে প্রথমবারের মতো তিস্তা অববাহিকার পাঁচ জেলায় হতে যাচ্ছে এই গণশুনানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তা নদী পাড়ের বাসিন্দাদের ভাবনা চিন্তা গুরুত্ব পাবে এই মহাপরিকল্পনায়। কী থাকবে, কী থাকবে না তা নিয়েও আলোচনা হবে এই গণশুনানিতে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, জনগণ তাদের মতামত, তাদের কি প্রয়োজন কি প্রয়োজন নেই তা পাওয়ার চায়না কোম্পানির কাছে তুলে ধরবে। চায়না পাওয়ার ইতোমধ্যে যে সমীক্ষা পরিচালনা করেছেন সেখানে তা যুক্ত করা হবে এবং তা নিয়ে তারা আবার স্ট্যাডি করবে।

অন্তবর্তী সরকারের এমন উদ্যোগে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে অধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন ভারতের এক তরফা পানি প্রত্যাহারে চরম হুমকিতে পড়েছে তিস্তা অববাহিকার দুই কোটি মানুষের জীবন জীবিকা। এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে দীর্ঘ সময় ধরে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা আন্দোলন গড়ে তুলে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দাবি করে। তাই প্রত্যাশা- ভূ-রাজনৈতিক দ্বৈরথ কাটিয়ে অন্তবর্তী সরকারের হাত ধরে আলোর মুখ দেখুক তিস্তা মহাপরিকল্পনা।

মায়মুনা

×