
ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৫ জন।
শনিবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত সাইফুল সরদার ও আতাউর সরদার সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর-টেকেরহাট এলাকার আজিবর সরদারের ছেলে। সাইফুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
গুরুতর আহতরা হলেন— সাইফুলের ভাই অলিল সরদার, প্রতিবেশী মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার, আজিজুল হকের ছেলে তাজেল সরদার। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে কীর্তিনাশা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল সরদার। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল একই এলাকার শাজাহান খানের সঙ্গে। এরই জেরে শনিবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের ওপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন।
এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের বড়ভাই আতাউর ও চাচাতো ভাই অলিল ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদারকে। আহত হয় অন্তত ৫ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, খোয়াজপুরের শাজাহান খান লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে এই হামলা চালায়। হামলার হাত থেকে বাঁচতে নিহত সাইফুল ও তার বড়ভাই আতাউর সরদার স্থানীয় মসজিদে ঢুকেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাদেরকে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা (সদর সার্কেল) বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/oewiomgoefo?si=DWjAIiBk5ofLhokX
এম.কে.