
ছবি:সংগৃহীত
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ঘোষণা করেছেন যে, বাংলাদেশে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হবে। তিনি এই তথ্যটি ৫ মার্চ, বুধবার বিকেলে রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে শ্রম বিষয়ক বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত একটি অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তুলে ধরেন।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি আরও জানান, সরকার ইতোমধ্যে শ্রম আইনের আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে কাজ করছে এবং শ্রম অধিকার সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। এই কমিশন আগামী মার্চ ২০২৫ এর মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, “সরকার শ্রম আইন সংশোধন করতে ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে।” নতুন সংশোধনীর মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন এবং কার্যক্রমের সহজীকরণ, যা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সম্মিলিত দর কষাকষি প্রক্রিয়া সহজ করবে।
এছাড়া, ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, "নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে, যা তাদের সুবিধামতো মা হওয়ার আগে অথবা পরে নেওয়ার সুযোগ দেবে।"
বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনী বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যদের গোপনীয়তা রক্ষা এবং শ্রম সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে 'বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি' পদ্ধতি কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশনের আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আঁখি