ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

দেনমোহর নিয়ে কুমিল্লা আদালতে ব্যতিক্রমী রায় 

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৩৯, ৬ মার্চ ২০২৫

দেনমোহর নিয়ে কুমিল্লা আদালতে ব্যতিক্রমী রায় 

ছবি: সংগৃহীত

মুদ্রাস্ফীতির তারতম্যের সঙ্গে মিলিয়ে বাদীকে দেনমোহর পরিশোধের রায় দিয়েছেন কুমিল্লার পারিবারিক আদালত। ফলে দেশে এই প্রথম দেনমোহর নিয়ে এমন ব্যতিক্রমধর্মী রায় করা হলো বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা আদালতের আইনজীবীরা।

 একইসঙ্গে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট টাকা পরিশোধের কথাও রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কুমিল্লার পারিবারিক আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ শেখ সাদী রহমান এই ‘ব্যতিক্রমধর্মী’ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সরকারি কৌঁসুলি বদিউল আলম সুজন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, বাদী ও বিবাদীর বিয়ে হয়েছিল ২০২২ সালে। এখন ২০২৫ সাল প্রতিবছর মুদ্রাস্ফীতির কারণে টাকার মানের তারতম্য ঘটে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে স্পষ্ট। 

এ অবস্থায়, দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারা প্রয়োগ করে মুদ্রাস্ফীতির তারতম্য অনুসারে বাদীর দেনমোহরের প্রকৃত মূল্য ২ লাখ ৬২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো এবং বাদী ওই টাকা পাওয়ার হকদার। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের কন্যা সুমাইয়ার সঙ্গে একই উপজেলার বিল্লাল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম খলিলের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা উসুল দেখিয়ে ২ লাখ টাকা বাকি রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে ইব্রাহিম খলিল সুমাইয়াকে তালাক দেয়। দেনমোহর ও ভরণপোষণের প্রার্থনা করে সুমাইয়া কুমিল্লা পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার শুনানি শেষে, আাদালত আজ বাদীর পক্ষে এ রায় ঘোষণা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সরকারি কৌঁসুলি বদিউল আলম সুজন বলেন, এ রায়কে অবহেলিত নারী সমাজের জন্য যুগান্তকারী রায় বলে মনে করছি। কারণ, আমাদের মুসলিম রীতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দেনমোহর নিয়ে নারীদের অনেক বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হতে হয়। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক বাস্তবতা উপলব্ধি করে যে রায় দিলেন, তা অবশ্যই ব্যতিক্রম ও যুগান্তকারী।

শহীদ

×