
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তরমুজ চাষিরা। ক্ষেত থেকেই পাইকারি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন কৃষকেরা। আবার কেউবা ট্রলার ও ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ভালো দামে বিক্রি করছেন তরমুজ। রমজানের শুরু থেকেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত তরমুজ বিক্রয় শুরু করেছেন। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হওয়ায় ফলন নিয়ে সন্তুষ্ট কৃষকেরা।
সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি ও বাজারজাতকরণে সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণ করে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার শতাধিক তরমুজ চাষিরা বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা,গারুড়িয়ার, ফরিদপুর, দুর্গাপাশা ইউনিয়নের নদীর চরাঞ্চলের জমি লিজ নিয়ে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে এই বছর বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও চরাঞ্চলের উর্বর মাটিতে তরমুজের বাম্পার ফলন পাওয়ায় প্রতিবছর এই অঞ্চলে ঝুঁকছে তরমুজ চাষিরা।
চলতি মৌসুমে বাকেরগঞ্জে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ভিক্টর সুগার, ওশেন সুগার, ব্লাক বেরী ও দেশীয় জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চরাঞ্চলে যুগের পর যুগ অনাবাদি অবস্থায় থাকা জনমানবশূন্য বিস্তীর্ণ ভূমি এখন তরমুজ চাষে সবুজে পরিণত হয়েছে। কৃষকরা তাদের মাঠ থেকেই তরমুজ বিক্রয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনীতি কুমার সাহা জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ১০০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ হয়েছে। আমরা সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে খোঁজ খবর নিয়েছি। সব সময় তাদের পরামর্শ দিয়েছি। এই বছর ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে আরো বেশি তরমুজ আবাদের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সাজিদ