ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

খনন কাজ পরিদর্শন শেষে পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের বিকল্প নেই

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৭, ৬ মার্চ ২০২৫

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের বিকল্প নেই

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পানি সম্পদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলো খননের বিকল্প নেই। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার ধানম-িসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে  ঢাকার খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শহরের জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখতে খালগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার খালগুলোতে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এজন্য খাল খনন কার্যক্রম চলমান থাকবে। 
বুধবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন চলমান ৬টি খালের খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করে একথা বলেন উপদেষ্টা। 
খাল খনন পরিদর্শনকালে বাউনিয়া খালের সাগুফতা ব্রিজের পাশে এবং উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন খিদির খালের পাড়ে ২ টি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, স্থপতি ফজলে রেজা সুমনসহ ডিএনসিসি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬টি খাল খননের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আরও ১৩টিসহ মোট ১৯ খাল খননের কার্যক্রম এ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। দিন দিন ঢাকা শহরের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঢাকার খালগুলো খনন করে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উন্নত হবে। ঢাকার খালগুলো খননের পর খালের পাড়ে দৃষ্টিনন্দন ফুলের চারা এবং ফল ও পাখিদের খাওয়ার উপযোগী বৃক্ষ রোপণ করা হবে।

ইতোমধ্যে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি এলাকার মোট ১৯টি খাল সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে ৬টি খাল সংস্কারের মাধ্যমে কর্মসূচির যাত্রা শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে। ৬টি খালের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৪টি খাল: বাউনিয়া, কড়াইল, রূপনগর ও বেগুনবাড়ি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ২টি খাল : মা-া ও কালুনগর।
ডিএসসিসির থেকে জানানো হয়, কালুনগর স্লুইস গেট হতে রায়েরবাজার গেট পর্যন্ত ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার বিস্তৃত কালুনগর খাল হতে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ২০ দিনে প্রায় ৬৫৩ মেট্রিক টন ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। অপরদিকে, ত্রিমোহনী হতে শেখের জায়গা ও মা-া হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার বিস্তৃত মা-া খাল হতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৯৭০ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। 
শহরের খালগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করে খালকেন্দ্রিক ব্লু নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করা হয় গত ২ ফেব্রুয়ারি। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ ৪ টি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ১৩টি দপ্তর/সংস্থার অংশগ্রহণে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কালুনগর ও মা-া খালে চলছে খাল পরিষ্কার ও পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাস্তবায়ন।

×