
মুন্সীগঞ্জের সিপাহীপাড়া ও আশপাশের এলাকা এখন পোশাক তৈরির হাব
মুন্সীগঞ্জের সিপাহীপাড়া ও আশপাশের এলাকা এখন পোশাক তৈরির হাব। ঘরে ঘরে মিনি গার্মেন্টস। রাজধানীর অনেক বিপণি বিতানের নান্দনিক পোশাক তৈরি হয় এখানে। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি এখানকার দুই সহস্রাধিক মিনি গার্মেন্টসে পনেরো হাজারেরও বেশি শ্রমিক ব্যস্ত সময় পার করছে। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ধাক্কা সামলে এবারের ঈদে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ক্ষুদে শিল্পপতিরা। বিসিকের হিসেবে ৩শ’ কোটি টাকার পোশাক বাজার জাতের টার্গেট রয়েছে এবার।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, একটি বাড়ি যেন একটি গার্মেন্টস। ঘরেই রং বেরংয়ের নান্দনিক পোশাক তৈরি হচ্ছে। সিপাহীপাড়া ও আশপাশের কয়েক গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পোশাক শিল্প। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই ঘরের ভেতরে এত কর্মযজ্ঞ। এখান থেকেই রাজধানীর নামকরা বিপণিতে সরবরাহ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার পোশাক।
কম্পিউটারাইজড অ্যামব্রয়ডারি মেশিন ব্যবহার করে চমৎকার সব ডিজাইন করা হচ্ছে। এরপর কারিগরদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে পোশাক। আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহারও আছে, চমৎকার ফিনিশিংয়ে তৈরি হয় বিশ্বমানের পোশাক।
চুন্ড্রি, টিস্যু, লেহেঙ্গা, বংশট, বাঁদুর, নাইনটি নাইন, জয়েন্টি, কিরণমালা, পাখি, কটকটি, নাইরা, এলেক্স, লোলদানি, পার্টি ফ্রক, ফেন্সি, অ্যাম্বোসসহ নানান নামের পোশাক তৈরি হচ্ছে এবারের ঈদে। ঈদকে সামনে রেখে রোজায় বিরামহীন কাজ চলছে এখন। তেলির বিলের মিনি গার্মেন্টস মালিক আমির হোসেন বলেন, চ্যালেঞ্জ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখানে সাপ্তাহিক বস্ত্র হাটের ব্যবস্থা জরুরি। মুন্সীগঞ্জ বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, উদ্যোক্তদের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে পাশে থাকবে বিসিক।