
ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দৃষ্কৃতকারীদের বিচার চাইলেন ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী নেতা শহীদুল হক সহিদ। তিনি বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা পুলিশের দায়িত্ব। এছাড়া স্থানীয় হাইব্রিড বিএনপি নেতারা ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনায় তাকে ফাঁসিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এক্ষেত্রে বিএনপি মিজান ও জুয়েলের হাত আছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
এদিকে নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা শহিদুল হক সহিদ বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই নব্য বিএনপি হয়েছে। তারাই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপির প্রকৃত নেতাদের কোনঠাসা করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, ছাত্ররা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার হঠাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রেখেছেন। তারা আমাদের ভাই ও সহকর্মী। কিন্তু তারা ভুলবুঝে কোন কিছু বিচার-বিশ্লেষণ না করেই আমার লালচাঁন মুকিম লেনের বাড়িতে হামলা করে।
এ ঘটনায় আমরা বৃদ্ধ অসুস্থ মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যারাই ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে তাদের বিচার হতে হবে। এ ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হওয়া উচিত বলে তিনি বলে মনে করেন। উল্লেখ্য, রাজধানীর পুরান ঢাকায় সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে ৬ শিক্ষার্থীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সম্রাট ধোলাইখাল এলাকার একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের উপর পা দেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে মারধর করেনপরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের কল দিলে তাঁর বন্ধু হাবিবসহ আরো দুই শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে তাঁদেরও মারধর করে আটকে রাখেন স্থানীয়রা।
সহপাঠীকে আটকে রাখার খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশে থাকা কয়েকশ শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকটি বসতঘর ও গোয়ালঘাট যুবসংঘ ক্লাবে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ, র্যাবের কয়েকশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ বিষয়ে পুলিশ ওয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী মারধর করে আটকে রাখেন ধোলাইখালের স্থানীয়রা। এরই জের ধরে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।
আসিফ