ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

ট্রাম্পের বক্তব্য অসত্য দাবি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের!

প্রকাশিত: ১৯:২২, ৪ মার্চ ২০২৫

ট্রাম্পের বক্তব্য অসত্য দাবি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের!

ছ‌বি: সংগৃহীত

একটা প্রতিষ্ঠানে এরকম কিছু আছে কিনা পরে আমরা খোঁজ দিয়ে দেখেছি যে আসলে মার্কিন একটা প্রতিষ্ঠানকে এই টাকাটা দেওয়া হয়। মার্কিন সরকার মার্কিন একটা প্রতিষ্ঠানকে দেয়। তারা এখানে বিভিন্ন এনজিওর সাথে কার্যকলাপ করে হিউম্যান ডেমোক্রেসির পক্ষে কাজ করার জন্য।মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। 

তৌহিদ হোসেন বলেন,তাদের সাথে কাজ করে এবং তাদেরকে এই টাকা পয়সা গুলি সবই প্রপার চ্যানেল অনুযায়ী এসেছে। আমাদের এখানে এমন কোন দুই ব্যক্তি নাই যাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে ।কারণ যদি থাকতো খুব সহজে সেটা জানা যেত আর যেটা আপনারা বলছেন যে, এটা নিয়ে সম্পর্ক এদিক ওদিক হবে কিনা আমার মনে হয় না। আমরাও দেখেছি যে আসলে এরকম কোন কিছু নেই কাজেই এটা নিয়ে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার মতো আমি কোন কারণ দেখি না । এটা কে আমি কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য বলে মনে করি না। 

তিনি আরো বলেন, এটা একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন ,আমরা দেখেছি যেটা এমন  কোন ভিত্তি দেখা যাচ্ছে না উনি তো স্পষ্ট করে একথাও বলেননি যে বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে ।এরকম কথাও কিন্তু উনি বলেননি।এখন দুই ব্যক্তি বলতে উনি কাদেরকে বুঝেছেন আমরা জানিনা ।

কাজেই এটা নিয়ে আমরা এর পরে আর কোন বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন নেই, বাংলাদেশের বিবৃতিতে অসত্য শব্দটা বলা আছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটা বক্তব্যকে আমরা অসত্য বলছি এটা বলাই যায়। এটা যেহেতু আমরা কোন সত্যতা খুঁজে পাই নাই।  এরকম কোন কিছু নাই কাজেই এটা ঠিক না এটাই বলেছি ।
 
তিনি আরো বলেন,এই মুহূর্তে আমার তো এটা নিয়ে চিন্তা হওয়ার আবার কোন প্রয়োজন নেই।কোন দেখুন বিষয়টা এরকম একটা আমব্রেলা এমওইউ আছে নদীর ব্যাপারে নদীর পানির ব্যাপারে সে আসলে এই এমওইউর যেহেতু এটা আগে থেকেই আছে রিনিউ প্রশ্ন ছিল রিনিউয়ালের সময় দুই পক্ষেরই কিছু অতিরিক্ত সংযোজনের ব্যাপার ছিল। এ কারণে একটু দেরি হয়েছে যে কারণে না হলে কিন্তু এটা আমি যখন চিনে গেছিলাম তখন এটা সই হওয়ার কথা ছিল।কিন্তু পরে দেখেন গেল যে যেহেতু দুই পক্ষেরই কিছু অতিরিক্ত বক্তব্য আছে সেটা পরস্পরের কাছে আদান প্রদান করে ঠিকঠাক করে তারপরে সই হবে সেটা এমওইউ হিসেবে সই হয়েছে।

 এখন একটা আমব্রেলা এমওইউ এর অধীনে কোন প্রজেক্ট অবশ্যই নেওয়া যেতে পারে এ নিয়ে এখনো ফাইনালাইজ কিছু হয়নি। এরকম খবর তো ভারতীয় পক্ষ থেকে দিতে হবে কারণ ভিসা জটিলতা আমরা সৃষ্টি করিনি। ভারত যেকোনো কারণে হোক তাদের ভিসা তো আপনারা জানেন যে এটা সোভেন রাইট কোন দেশ কাউকে যদি ভিসা না দেয় বা কোন গোষ্ঠীকে ভিসা না দেয় এটা নিয়ে কোন কোন প্রশ্ন তোলা যাবে না।

এটা তাদের সিদ্ধান্ত আমরা আশা করব তারা তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন, আমাদেরকে বা তাদের কার্যকলাপ বাড়াবেন যাতে করে লোকজন যারা ভিসা চায় তারা ভিসা পেতে পারে প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন এটা কিন্তু আমাদের একেবারেই আমাদের অবস্থা নিয়ে ।

আপনারা জানেন যে, আমি নিজেও বিভিন্ন সময় বলেছি, যে আমরা একটা গুড ওয়ার্কিং রিলেশন চাই ।অন দি বেসিস অফ রেসিপ্রোসিটি এন্ড মিউচুয়াল রেস্পেক্ট তো এটা এই অবস্থানটাই কিন্তু চিফ এডভাইজারও বলেছেন কাজেই এটা আমাদের যে একটা স্পষ্ট অবস্থান প্রথম থেকে আছে সেটা এটা তারই রিফ্লেকশন ।বাকিটুকু দেখা যাক এখন দুই পক্ষের স্বার্থ আছে কে কিভাবে সেই স্বার্থকে দেখে সেটা বিবেচনা করেই সম্পর্ক আগাবে।

 

সূত্র :https://www.youtube.com/watch?v=9PCtqoqCyKA

ফয়সাল

×