ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজানে যেভাবে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ৪ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৭:৪২, ৪ মার্চ ২০২৫

রমজানে যেভাবে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

রমাদানে ইফতার রোযাদারের জন্য অন্যতম আনন্দের মুহূর্ত। সামর্থ্যবানরা প্রতিদিন নানা রকম সুস্বাদু ইফতার উপভোগ করেন। তবে পাশের দরিদ্র প্রতিবেশীর কথা কি কখনো মনে আসে? তারা কীভাবে ইফতার করছেন, সেই খোঁজ কি আমরা রাখি?

ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে রমাদানে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দরিদ্র মানুষকে ইফতার করানো রমাদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু ইবাদতই নয়, বরং আত্মিক প্রশান্তির কারণও। রমাদানে আমরা চাইলে দরিদ্র প্রতিবেশীর জন্য ১০ দিন, ২০ দিন বা পুরো মাসের ইফতার কিনে পাঠাতে পারি।

একজন রিকশাচালকের কথা চিন্তা করুন। তার ছোট সন্তানেরা হয়তো সুস্বাদু ইফতার খেতে চাচ্ছে, কিন্তু সীমিত সামর্থ্যের কারণে তিনি সেটি দিতে পারছেন না। তখন যদি কেউ একটি ইফতারের ব্যাগ হাতে তার দরজায় হাজির হয়, সেটি হবে তার পরিবারের জন্য স্বর্গীয় এক অনুভূতি।

কেবল ইফতারই নয়, সাহরিতেও দরিদ্রদের খোঁজ রাখা উচিত। রোযার শক্তি সঞ্চয়ের জন্য পুষ্টিকর সাহরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে গেলে শুধু দরদামে ব্যস্ত না থেকে আশপাশের মানুষদের দিকে খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সম্ভ্রান্ত মানুষও আজ দুর্মূল্যের চাপে কষ্টে আছেন। হয়তো তারা বাজারে এসে একটা মাছের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন, কিন্তু কিনতে পারেন না। এমন কারও পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে মাছটি কিনে দিলে তার মুখে যে হাসি ফুটবে, তা অপার্থিব শান্তির উৎস হয়ে উঠবে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ তার বার্তায় আরও বলেন, মানুষের সহযোগিতায় যদি কষ্টে থাকা রোযাদারের মুখে হাসি ফোটানো যায়, তাহলে মহান আল্লাহও সন্তুষ্ট হবেন। কারণ হাদিসে এসেছে, "যে ব্যক্তি কোনো দুস্থের অভাব দূর করবে, মহান আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুরবস্থা দূর করবেন।"

রমাদানের এই পবিত্র মাসে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ইফতার ও সাহরির ব্যবস্থা করা শুধু দানের কাজ নয়, বরং এটি সমাজের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়িত্বও। তাই আসুন, রমাদানের এই শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি এবং সবার জন্য আনন্দময় এক পরিবেশ সৃষ্টি করি।

আসিফ

×