
ছবি: সংগৃহীত
গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির সদস্য নূর খান জানিয়েছেন, বগুড়া পুলিশ লাইনে একটি গোপন বন্দিশালা পাওয়া গেছে, যেখানে বন্দিদের এনে নির্যাতন করা হতো।
আজ (৪ মার্চ) গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পুলিশ লাইনের ভেতরে কারাগারের মতো এই বন্দিশালা গত ১০-১২ বছরের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এখান থেকে অনেকের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গুমের শিকার হয়ে নিখোঁজ ৩৩০ জনের অনুসন্ধান চলছে। কমিশনে ১,৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১,০০০টি যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪৫ কর্মকর্তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন হওয়া ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে, তবে এখনো কোনো গুম হওয়া ব্যক্তির নাম নিশ্চিত করা যায়নি। তবে ২২ ডিসেম্বর গুম হওয়া মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আসিফ