
ছবি : জনকণ্ঠ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকায় ডাকাতের গুজব ছড়িয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের পিটুনি দেওয়া হয় বলে জানান স্থানীয়রা । তবে এ সময় পাল্টা গুলিতে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীও গুলিবিদ্ধ হয়।
আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ছনখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এদিকে সংগঠিত হামলার ঘটনাকে স্থানীয় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে বলে অনেকে দাবি তুলেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকাবাসীর মাঝে আতংক ও শংকার চাপ পরিলক্ষিত করা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনা এলাকার নেজাম নামের এক রাজনৈতিক কর্মী গত ৫ আগস্টের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরেন। ফিরেই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি শুরু করেন। নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১১ টার দিকে ছনখোলা এলাকার মসজিদ হতে তারাবির নামাজ পরে বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম ও তার বাহিনীর সদস্যরা একালাবাসীর ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী নেজাম ও তাঁর সাথে থাকাদের গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নেজাম ও ছালেক নামে দুজন মারা যায়।
সাতানিয়া থানার পুলিশের এক সদস্য জানান, এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুজন মারা গেছে। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ আছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা তিনি জানাতে পারেননি।
ঘটনাস্থলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য অফিসাররা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, নিহত দুজনের মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ অন্তত ৫ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
জোবাইর চৌধুরী/মো. মহিউদ্দিন