
ছবি: সংগৃহীত
বরিশালের উজিরপুরে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশের মাধ্যমে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় রফাদফা করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা জরিমানার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম শোলক গ্রামে কয়েকদিন আগে এক হতদরিদ্র ১৪ বছর বয়সী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে পানবরজে একা পেয়ে ধর্ষণ করে একই গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে, এক সন্তানের জনক পলাশ সরদার (৩০)। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। সালিশ বৈঠকের নামে ধর্ষকের কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জরিমানার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা কিশোরীর নামে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। তবে বাকি ৪০ হাজার টাকা সালিশকারীরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীর দাদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্মসাৎ করা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক পলাশ সরদার ও সালিশদারদের একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ সাড়া দেননি। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুস সালাম বলেন, "বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে সালিশের মাধ্যমে এমন নৃশংস অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ধর্ষণের শিকার এই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর পরিবার এখনো ভয়ে ও অসহায়ত্বে দিন কাটাচ্ছে। তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন। এমন অন্যায় যাতে আর কোনো মেয়ের জীবনে না ঘটে, সেই নিশ্চয়তা দিতে প্রয়োজন দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
এম.কে.