ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

গায়েব হয়ে যাচ্ছে ফেরি-পন্টুন, দেখার কেউ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ৩ মার্চ ২০২৫

গায়েব হয়ে যাচ্ছে ফেরি-পন্টুন, দেখার কেউ নেই

ছবি: সংগৃহীত

পন্টুনের উপরের অর্ধেক পাটাতন কেটে বিক্রি করা হয়েছে। আর ফেরিতো অর্ধেক কাদায় আটকে গেছে। জোয়ারে ডুবছে আর ভাঁটায় জাগে। মেশিনের হদিস নেই। গ্যাংওয়ের অর্ধেক গায়েব হয়ে গেছে। কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের বালিয়াতলীর নদীর ফেরি পারাপার ১২ বছর ধরে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এসব মালামাল ভাঙ্গারির মতো বিক্রি হচ্ছে। যেন সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল অবস্থা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এ ফেরিটি ২০০৮ সালে চালু করলেও ২০১২ সালের দিকে বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে এখান থেকে কুয়াকাটাগামী বিকল্প সড়কে নতুন চালু হওয়ায় ফেরির আর প্রয়োজনীয়তা নেই। কিন্তু প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে সরকারের এই মালামাল গায়েব হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, এলজিইডির পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২৫ এর আওতায় দেশীয় কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি মেকানাইজড ফেরিটি বালিয়াতলী পয়েন্টে আন্ধারমানিক নদীর শেষপ্রান্তে স্থাপন করা হয়। ফেরিটি ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ব্যবস্থাপনা তাদের হাতে ন্যাস্ত করা হয়। উপজেলা পরিষদ বাংলা ১৪১৬ সালের জন্য ২৬ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করে। ফেরিটি চালু হওয়ার পরে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দে বিকল্প এ সড়কে গাড়ি নিয়ে কুয়াকাটা ছাড়াও গঙ্গামতি কাউয়ারচরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট দেখার সুযোগ পেত।

এছাড়া এপথে চলাচলকারী বালিয়াতলী, ধুলাসার, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়। লাঘব হয় দুর্ভোগ। কিন্তু কিছুদিন যেতেই ফেরিটির ইঞ্জিন, গ্যাংওয়ে, পন্টুন বিকল হতে থাকে। ইঞ্জিনের একটি পাখা ভেঙ্গে তিন বছর পারাপার বন্ধ থাকে। এরপর কয়েকদিনের জন্য চালু হয়ে ফের বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর পুর্নাঙ্গভাবে চালু হয়নি। এখন ফেরিটি চরে কাদার উপরে পড়ে নষ্ট হতে থাকে। বহু লোহা-লক্কর থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। কিন্তু ২০১২ সালে ফেরিটি একেবারে বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে এভাবে পড়ে আছে। পন্টুনের উপরের লোহার পাটাতন কেটে কেটে একটি চক্র নিয়ে বিক্রি করছে। যেন দেখার কেউ নেই।

স্থানীয় বাসীন্দা মোঃ ফোরকান জানান, কয়েক বছর আগেই আগেই ফেরির টন পাইপ ও পাখার সঙ্গে রড বেঁধে দেয়ায় পাখা ভেঙ্গে গেছে। এখন পন্টুনের পাটাতন কেটে কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। বহু মালামাল চুরি হয়ে গেছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।

আসিফ

×