ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

ছাত্র আন্দোলন

সুজনের শরীরে ৩শ’ ছররা গুলি ॥ চিকিৎসা বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ৩ মার্চ ২০২৫

সুজনের শরীরে ৩শ’ ছররা গুলি ॥ চিকিৎসা বন্ধ

সুজন

বিগত ৫ আগস্ট দিনটি ছিল ছাত্র-জনতার এক ঐতিহাসিক বিজয়ের দিন। সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দাবিতে সারাদেশের ন্যায় রাজধানী ঢাকার বাড্ডা এলাকায় ঘেরাও কর্মসূচি ছিল ছাত্র-জনতার। সেই কর্মসূচিতে সকাল ৯টায় অংশ নেন অটো চালক সুজন। সুজনের বাড়ি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আকালু গ্রামে। বাবা মৃত আনছের আলী।

তিনি বাবার ৩ সন্তানের মধ্যে একমাত্র বড় ছেলে ও পেশায় অটো চালক। সুজন ঢাকায় রিক্সা চালনার পাশাপাশি স্থানীয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
আহত সুজন বলেন, আমি দরিদ্র লোক হলেও অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার সহ্য করতে পারি না। গত ৫ আগস্টের আগেও আমি অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছি। জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে অন্যদিনের মতো ৫ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে বাড্ডা থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে।

পুলিশ আমাদের ওপর একতরফা গুলিবর্ষণ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের ছররা গুলির ২শ’ ৯৬টি স্পিøন্টার আমার শরীরে লাগে।  কেউ খোঁজ নেয় না। এমন অবস্থায় আমার উন্নত চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতা দরকার। সোনালী ব্যাংক ভূঞাপুর শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ৬০০৩৮০১০২২৩৫৩, মাধ্যমে আমাকে আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি।
সুজনের স্ত্রী নূপুর বলেন, আমি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে, আমার বাবাও  নেই। আমার স্বামী আহত হওয়ার দিন (৫ আগস্ট) আমার সংসারে একটি টাকা ও কোনো খাদ্য সামগ্রী ছিল না। খবর পেয়ে আমার বাবার বাড়ি বরিশালের বিভিন্ন জনের সহযোগিতায় ৮০০ টাকা সংগ্রহ করে স্বামীকে উদ্ধার করার জন্য ঢাকায় যাই।

ওর আহত হওয়ার পর থেকে সংসারে কোনো আয় নেই। বর্তমানে আমার শ^শুর বাড়ি এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাত পেতে চেয়ে চিন্তে খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করছি। এমনো দিন যাচ্ছে চুলায় আগুন জ্বলে না। এমন অবস্থায় আমার ৩ সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

×