ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বলায় ইমামকে পেটালো সেক্রেটারি

প্রকাশিত: ২০:২৪, ৩ মার্চ ২০২৫

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বলায় ইমামকে পেটালো সেক্রেটারি

ছবি: সংগৃহীত।

মসজিদে জুম্মার নামাজের খুৎবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে আলোচনা চলাকালে দুই শিক্ষক কর্তৃক ইমামকে মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর রবিবারেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর ইউনিয়নের বানিয়াচং গ্রামের খন্দকার বাড়ির জামে মসজিদের হুজরা খানায় ঘটে।

এদিকে, এই ঘটনার পর ইমামের সমর্থকরা প্রতিশোধ হিসেবে কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেন। আহত ইমাম মো. হাসান মুরাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তিনি চান্দিনার বানিয়াচং খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হামলাকারীরা হলেন চান্দিনার বানিয়াচং গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মো. নূরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। নূরুল ইসলাম ওই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অন্যদিকে, জাকির হোসেন খোববাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

জানা যায়, ওই মসজিদের ইমাম শুক্রবার খুৎবায় সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদ কমিটির সদস্যরা তাকে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই মসজিদের মাইকের স্ট্যান্ড দিয়ে তাকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় ইমামের উপর হামলাকারী দুই শিক্ষক এবং ইউপি মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে।

ইমাম মো. হাসান মুরাদ জানান, "আমি সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলি। আর এটাকে কোন ভাবেই মানতে পারছে না হাতে গোনা কয়েকজন। আমি তাদেরকে অনুরোধ করে বলেছি, আমি রমজান মাস থেকে নিজেই চলে যাবো। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করে কক্ষে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।"

এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত নূরুল ইসলাম মাস্টার জানান, "ওই ইমামকে এলাকার বেশ কিছু মানুষ ভালভাবে গ্রহণ করছেনা। মুসল্লিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। শনিবার তাকে আমরা বুঝিয়ে বিদায় করতে গেলে সে আমার চোখে আঘাত করে।"

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা জানান, "ইমামকে মারধরের ঘটনার পর এলাকাবাসী কিছু ব্যক্তির বাড়িতে হামলা করেছে। উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং তদন্ত চলছে।"

নুসরাত

×