ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজান ও ঈদে জানমালের নিশ্চয়তায় টঙ্গীর বস্তুিতে ব্যাপক সেনা অভিযান

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী

প্রকাশিত: ১৮:৫৪, ২ মার্চ ২০২৫

রমজান ও ঈদে জানমালের নিশ্চয়তায় টঙ্গীর বস্তুিতে ব্যাপক সেনা অভিযান

ছবি: জনকণ্ঠ

শনিবার রাতে টঙ্গী বাজারের হাজির মাজার বস্তিতে ডেভিল হান্টের সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত ব্যাপক যৌথ অভিযানে বিপুল সংখ্যক ৬০ অপরাধীকে আটক ও বেশ কিছু মাদকসহ টাকা পয়সা উদ্ধার করা হয়েছে।

রাতে স্হানীয় সেনবাহিনীর একটি দল মাজার বস্তির চারিদিকে ঘিরে ফেলে। তল্লাশি চালায় ঘরে ঘরে। ঘরের ভেতর সুড়ঙ্গসহ পাওয়া যায় নানা অস্বাভাবিক কার্যক্রমের নিদর্শন। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে জনসাধারণের জানমালের নিশ্চয়তায় মূলত টঙ্গী বাজার মাজার বস্তুিতে যৌথ বাহিনীর এই ব্যাপক সেনা অভিযান


রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দেশের মানুষকে সুখশান্তিতে রাখতে মুলত সেনাবাহিনীর এই অভিযান। রাজধানীর উত্তরা সংলগ্ন টঙ্গী বাজার ব্রীজ সংলগ্ন বস্তিটিতে রোজার আগের দিন ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। হাজির মাজার বস্তিটি দেশের সবচাইতে মাদকও অপরাধপ্রবণ হওয়ায় এটি একটি চিহ্নিত ক্রাইম জোন হিসাবে পরিচিত পেয়েছে। বস্তুি মাদককারবারি চোর ছিনতাইকারী ডাকাতদের অভয়ারণ্যে হিসাবেও পরিচিত। রাজধানী ঢাকা টঙ্গী গাজীপুরের বিভিন্ন স্হানে  ক্রাইম করে এই টঙ্গীর হাজির মাজার বস্তিতে  আত্মগোপনে চলে আসে অপরাধীরা।


সেনা অভিযানে থাকা গাজীপুরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম অভিযান শেষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব সদস্যদের সঙ্গে বর্ডার গার্ডের বিপুল সংখ্যক সদস্যও অংশ নেন। মাজার বস্তির অধিকাংশ মানুষ ছিনতাই, ডাকাতিসহ হেনকোন অপরাধ নাই যে করে বেড়ায় না! অভিযানে ৬০ জন অপরাধী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মাদক ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুরো রমজানজুড়ে এমন অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল ইসলাম।


অভিযানে থাকা দায়িত্বশীল সেনাকর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, রমজান জুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মূলত এমন আকস্মিক অভিযান। সেনা কর্মকর্তা আরো জানান, সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখতে পুরো রমজান জুড়ে ক্রাইম জোন গুলোতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। টঙ্গী বাজার মাজার বস্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে বস্তুির চতুর্দিকে একপর্যায়ে হৈচৈ পড়ে যায়, অনেকে পালাতে গিয়েও ধরা খায়।


স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় প্রকাশ্যেই বস্তিটিতে মাদক কারবার চলে আসছে। বিষয়টি অনেকবার স্থানীয় থানায় জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরেজমিনে টঙ্গীর মাজার বস্তি ঘুরে ছোট ছোট অসংখ্য ঘর দেখা গেছে। ওইসব ঘরে মাদকসহ নানা অপরাধের ঘাটি হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাদক বিক্রির পাশাপাশি বস্তিটিতে বিভিন্ন মাদক সেবনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

×