ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

শৈলকুপায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫০

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: ২২:১৮, ১ মার্চ ২০২৫

শৈলকুপায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫০

শৈলকুপায় দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘষেং আহত ৫০ জন

শৈলকুপায় উপজেলার রয়েড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। 
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রয়েড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আবু সালেহ মুসার সঙ্গে একই এলাকার মোকাদ্দেস হোসেনের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাতে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুসার সমর্থক আকমলের সঙ্গে মোকাদ্দেসের সমর্থক সুজনের কথা-কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রেজাউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, গোলজার হোসেন, আজিজুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, আবু কালাম, পিকুল মন্ডল, পরশ মোল্যা, সাইদুল ইসলাম, আব্বাস আলী, সাইদুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, নাসিমা খাতুন, অমিত হোসেন, আলামিন হোসেন, মহিদুল ইসলাম, আজিজুল, কামরুল হোসেন, ওয়াজেদ আলী, হোসেন মোল্যা, জায়েদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, নুরুল ইসলাম, মহিদুল মোল্যা, মাজিদুল মোল্যাসহ অন্তত ৫০ ব্যক্তি আহত হয়। 
শৈলকুপা থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান জানান, শৈলকুপা উপজেলার রয়েড়া গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েক ব্যক্তি আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

তাড়াশে সমন্বয়ক পরিচয়ে হোটেল ভাঙচুর  

সংবাদদাতা, তাড়াশ সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে সমন্বয়ক পরিচয়ে হোটেল ভাঙচুরের অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ। শনিবার ভোর ৫টার দিকে তাড়াশ উপজেলার খালকুলা এলাকার আশা হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের মারধরে হোটেল মালিক ও বাসের হেলপারসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে মো. ফিরোজ কামাল (৩৫) তাড়াশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অবশ্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক, তাদেরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে মর্মে দাবি করেছেন। 
শুক্রবারের ঘটনার জের ধরে, শনিবার ভোরে তারা ঢাকা থেকে নাটোরে ফেরার পথে, পুনরায় ওই হোটেলে যাত্রা বিরতি দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে এসে  হামলা চালায় এবং ক্যাশ কাউন্টারসহ হোটেলের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
হোটেলের কর্মচারীরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়লে স্থানীয়রা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দিলে, অধিকাংশ ছাত্ররা বাস নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা নাটোরের মল্লিকহাটি গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৬) ও লালমুনিপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম (২৫) নামে দুজন সমন্বয়ককে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে  তাদের উদ্ধার করে  থানায় নিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় পক্ষ থানায় বসে আপোস মীমাংসা করে নিয়েছেন। 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক মো. সজীব সরকার বলেন, ঢাকার মানিক মিঞা এভিনিউয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্ম প্রকাশ উপলক্ষে, নাটোর থেকে  ঢাকা যাবার পথে, আমাদের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষের অনাকাক্সিক্ষত  ঘটনা ঘটে। পরে আমরা গিয়ে মীমাংসা করে  দিয়েছি।

লালমনিরহাটে হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৫

নিজস্ব সংবাদদাতা লালমনিরহাট থেকে জানান, আদিতমারী উপজেলায় আবু তালেব আবু নামে এক ইউপি সদস্যের অবৈধ বালু উত্তোলনের ভিডিও করায় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার রাতে ঐ ইউপি সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হেনস্থার শিকার চ্যানেল২৪ টেলিভিশন এর লালমনিরহাট সংবাদদাতা মাহফুজুল ইসলাম বকুল। এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান আবিরসহ যুবদলের কয়েকজন নেতা ইউপি সদস্য আবুর  বালু উত্তোলনের  খবর পেয়ে চন্ডিমারী গ্রামে যান। এখবর জানতে পেয়ে সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুলও তাদের সাথে চন্ডিমারী গ্রামে যান। সেখানে তিনি দেখতে পান রাতের আঁধারে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক বকুল ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করার সময় ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু ও তার লোকজন তাকে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা তাকে গালিগালাজ করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং মারধরের চেষ্টা করে। এসময় হামলাকারীরা যুবদলের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকের মোটরসাইকেলসহ চারটি মোটরসাইকেল  ভাঙচুর করে এবং ওই সাংবাদিকের ক্যামেরা, বুমসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। 
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে চ্যানেল-২৪এর সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম বকুল আদিতমারী থানায় ইউপি সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ও মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি অহেদুজ্জামান আবীর ইউপি সদস্য আবুর বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তালেব আবু  বলেন, আমি কাউকে হামলা করিনি। লেবারদের সাথে কি হয়েছে সেটা আমি জানিনা। আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আকবর বলেন, “সাংবাদিকের ওপর এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, রাতের আঁধারে একটি চক্র বালু উত্তোলন করছে,এমন ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে সাংবাদিক আহত হয়েছেন শুনেছি। অবৈধভাবে বালুউত্তোলনের পিছনে কারা কারা জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে  ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

×