
টঙ্গী বাজারে তুরাগ নদী পারাপারে বিআরটি সড়কে পথচারী সেতু নির্মাণ দাবিতে ব্যবসায়ী যাত্রী পথচারীদের মানববন্ধন এবং আগের বেইলি ব্রীজ
এয়ারপোর্ট টঙ্গী গাজীপুর বিআরটি সড়কের ভুল ডিজাইনের কারনে এবার যাত্রী পথচারীদের টঙ্গী বাজারে তুরাগ নদী পারাপার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উত্তরা টঙ্গী গাজীপুরবাসীর গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে বিআরটি সড়কেটি। হাজার বছর ধরে টঙ্গী বাজারে টঙ্গী তুরাগ নদী পারাপার হওয়া হাজার লাখো যাত্রী পথচারী চরম বিপাকে পড়েছেন বিআরটি কর্তৃপক্ষের।
আবার অপরদিকে বেইলি ব্রীজটি না সরালে টঙ্গী বাজারে নৌচলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটবে। আগপাছ না ভেবে বিআরটির ভাগাভাগা ইন্জিনিয়ারিদের এমন খামখেয়ালিপনা ডিজাইনে ভুক্তভোগী হয়েছেন এয়ারপোর্ট টঙ্গী গাজীপুর সড়কে চলাচলকারী হাজার লাখো চালক যাত্রী পথচারী। ৩ বছরের বিআরটি প্রকল্প ১২ বছরেও পুরোপুরি শেষ করতে না পারায় ক্ষোভ বাড়ছে স্হানীয়দের।
সমস্যা সমাধানে টঙ্গী বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, পথচারী ও যাত্রী সাধারণ বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে যাচ্ছেন অব্যাহতভাবে। শনিবারও হাজারো মানুষ মানববন্ধন করেছেন উত্তরা টঙ্গীর হাজার লাখো মানুষ। তাদের একটিই দাবি তুরাগ নদীতে নৌচলাচল অব্যাহত রেখে টঙ্গী বাজার সংলগ্ন তুরাগ নদী এপারওপার হতে উঁচু একটি পথচারী ব্রীজ নির্মাণ করার। এদিকে দেখা গেছে, টঙ্গী গাজীপুর ময়মনসিংহের বিআরটির এ সড়কে পূর্ব পাশে টঙ্গী বাজার থেকে যানবাহন চলাচলে একটি সরু র্যাম নির্মাণ করা হয়েছে যা আবদুল্লাহপুর শেষ প্রান্তে নেমেছে।
এই সড়কটি দিয়ে কোনরকমে একটি যানচলাচল করতে পারে। এই সরু ব্রীজটি একটু চওড়া করলে যাত্রী পথচারী পারাপার হতে পারতেন কিন্তু এ ব্যবস্হও রাখা হয়নি ভুল ডিজাইনের প্যাচে। অপরদিকে টঙ্গী বাজারের পশ্চিম পাশে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গী বাজার পর্যন্ত অনুরূপ আরেকটি সড়ক র্যাম নির্মাণ করা হলেও তা এখনও চালুই করা হয়নি। ফলে ঢাকা উত্তরা থেকে আসা কোন যানবাহন এখনও পর্যন্ত টঙ্গী বাজার স্হলপথ স্পর্শ করতে পারছে না। বছর খানেক আগে বিআরটি সড়ক চালু হলে যানজট শূন্যের কোটায় নেমে আসলেও এখন আগের মতোই যানজটে নাকাল হন যাত্রী পথচারী চালকরা।
সব কিছু মিলিয়ে এয়ারপোর্ট উত্তরা টঙ্গী গাজীপুর বিআরটি সড়কে চলছে এক হযবরল অবস্থা। অপরদিকে টঙ্গী কলেজগেট থেকে জয়দেবপুর শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটি সড়ক যেন এক মৃত্যু ফাঁদ। মাঝখানেের রাস্তাটি টুওয়ে হওয়ায় একদিকে দেখে রাস্তা পারা হতে গিয়ে অপরদিক থেকে আসা গাড়ি চাপায় প্রায় প্রতিদিনই হতাহত হচ্ছেন যাত্রী সাধারণরা।
বিআরটি টঙ্গী তুরাগ নদীর উপর ১০ লেনের ব্রীজ নির্মাণ শেষে তুরাগ নদীর উপর থাকা অস্হায়ী বেইলী ব্রীজ দুটি বিআরটি কর্তৃপক্ষ ভেঙে ফেলতে গেলে ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী বাজার ব্যবসায়ী, যাত্রী ও পথচারীরা বেইলী ব্রীজ ভাঙতে বাঁধা দেয়। ভুক্তভোগীদের কথা হচ্ছে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী বাজারে ক্রেতাদের আসা বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। পথচারী ও যাত্রীরা তুরাগ নদী পাড়ি দিতে পারবেন না।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়বেন এয়ারপোর্ট উত্তরা আবদুল্লাহপুর টঙ্গী গাজীপুর থেকে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা হাজার লাখো মানুষ। অপরদিকে বেইলি ব্রীজটি তুরাগ নদী থেকে না সরালে নৌ চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটবে। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, যা ভুল তা তো হয়েই গেছে, এখন টঙ্গী বাজারের তুরাগ নদীতে নৌচলাচল অব্যাহত রেখে তুরাগ নদীর ১০ লেনের উঁচু ব্রীজসম আরো একটি পথচারী ব্রীজ নির্মাণ করা।
ভুক্তভোগীরা বলছেনে শুরু থেকে বিআরটি কর্তৃপক্ষের পদে পদে ভুল ডিজাইনের খেসারত দিতে হচ্ছে হাজার লাখো জনসাধারণকে! তাদের বক্তব্য হচ্ছে, হাজার বছর ধরে টঙ্গী তুরাগ নদী পারাপার হওয়া মানুষদের এপারওপার যাতায়াতের ব্যবস্হা না করে ৪ হাজার কোটি টাকা টাকা খরচের বিআরটি প্রকল্পটি এখন উত্তরা টঙ্গী গাজীপুরবাসীর গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে!
সায়মা ইসলাম