
ছবি:সংগৃহীত
শত বছরের পুরনো রামদিয়া তিলের মটকা এখনো সমানতালে পরিচিত। বিশেষ পদ্ধতিতে চিনি থেকে তৈরি করা হয় রামদিয়া মটকা। ছোট বড় সকলের কাছে পছন্দ রাম দিয়া তিলের মটকা। পণ্যটি জিআই স্বীকৃতি পেলে ভাগ্যের চাকা ঘুরতে পারে অসংখ্য উদ্যোক্তার।
রাজবাড়ী জেলার ঐতিহ্যবাহী রামদিয়া মটকা, বিশেষত রামদিয়া তিলের মটকা, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এবং দেশজুড়ে পরিচিত একটি মিষ্টান্ন। এই মটকাটি শত বছরের পুরনো এবং এর স্বাদ ও গুণমান আজও অটুট রয়েছে। বিশেষত এর তৈরি পদ্ধতিটি অত্যন্ত বিশেষ। এটি চিনি, তিল, ছানার পানি এবং ঘি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যা একে অনন্য স্বাদ দেয়।
লোহার কড়াইয়ের মধ্যে চিনি ও জল দিয়ে তৈরি হয় শিরা। হালকা ঠান্ডা হলে চীনের শিরা জমাট বেঁধে যায় এরপর সিংয়ের মতো দোডালা গাছের সাথে হাতে টানা হয় জমাট বাধা চিনির শিরা। শিরা টানা শেষ হলে রাখা হয় পরিষ্কার স্থানে এভাবে তৈরি হয় তিলের মটকা। এরপর সর্বশেষে প্যাকেট করনের পর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়।
রামদিয়া মটকা স্থানীয়ভাবে একে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের জনপ্রিয় মিষ্টান্ন হিসেবে পরিচিত। এটি এমন একটি মিষ্টি, যা ছোট-বড় সবার মন জয় করেছে। যেহেতু রামদিয়ার তিলের মটকা একটি ঐতিহ্যবাহী পণ্য, এর প্রতি আকর্ষণও বেড়েছে।
অতীতে অনেক পরিবার এই মটকা তৈরি করত, কিন্তু বর্তমানে তা কিছুটা কমে এসেছে। তবে, এর জনপ্রিয়তা আজও ধরে রেখেছে। যদি এই পণ্যটি জিআই (গ্লোবাল ইনডিকেশন) স্বীকৃতি পায়, তবে এটি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, কারণ এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম।
রামদিয়া মটকার ইতিহাসও খুবই চমকপ্রদ—এটি তৎকালীন রাম বাবুর বিখ্যাত তিলের মটকা থেকে নামকরণ করা হয়েছে, যা আজও স্থানীয়দের স্মৃতিতে অটুট।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক