
সংগৃহীত
সরাইল উপজেলার ছেত্রা নদীর দুপাড়ের বৃষ্টি গ্রামের মানুষের পাড়াপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের শাকম। স্বাধীনতা লাভের ৫৩ বছরেও পাকা সেতু হয়নি গ্রামটিতে।
প্রায় ৭00 ফুট লম্বা ও পাঁচ ফুট প্রশস্তের ওরুয়াল পাকীমূল ইউনিয়নের সংযোগ শাকটি দিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০০০ মানুষের চলাচল । গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে করা বাঁশের এ নরবরে শাকতে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল ছাড়া আর কোন যানবাহন চলতে পারে না। বর্ষা মৌসুমে চলাচল করতে হয় নৌকায়। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরও ভোগান্তির শেষ নেই ।
স্থানীয়দের আক্ষেপ, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও তার প্রতিফলন ঘটেনি । এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও, তা আলোর মুখ দেখেনি। এতে শিক্ষা কৃষিসহ আর্থসামাজিক উন্নয়ন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, অন্য এলাকার মানুষের প্রায় বিশাল একটা অংশ এদিক দিয়ে চলাফেরা করতেছে। নারীদের খুব কষ্ট হয়। বাঁশের ব্রিজে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। প্রতিদিন শত শত স্টুডেন্টরা বাঁশের একটা সাকু দিয়ে চলাচল করে। বৃষ্টির দিনও অসুবিধা হয়।
যদিও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনভোগান্তি বিবেচনায় ছেত্রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ৪00 মিটার দৈর্ঘ্যের একটা সেতুর প্রস্তাবনা করেছি। প্রকল্পটা যদি অনুমোদিত হয় এই দুর্ভোগ কমে আসবে। অবশ্যই আর্থসামাজিক পরিবর্তন হবে এই এলাকাতে। যেনো উৎপন্ন কৃষি পণ্য খুব সহজে সরাইল হয়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যেতে পারে। জনদুর্ভোগ হ্রাস এবং হাওড় বেষ্টিত এলাকার জীবনমান উন্নয়নে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।