ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

বেইলিব্রিজ: একসময়ের স্থাপত্য বিস্ময়, এখন ভোগান্তির নাম!

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১২:৪৮, ১ মার্চ ২০২৫

বেইলিব্রিজ: একসময়ের স্থাপত্য বিস্ময়, এখন ভোগান্তির নাম!

ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুরের ঐতিহাসিক বেইলিব্রিজ, স্থানীয়দের কাছে 'লোহার ব্রিজ' নামে পরিচিত। ব্রিজটি আজ দুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ১৯৩৫ সালে নির্মিত এই সেতুটি ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এরপর অস্থায়ীভাবে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়, যা ৩৭ বছর ধরে চলছে। কিন্তু অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ এবং যানজটের কারণে এটি এখন স্থানীয়দের জন্য একটি বড় সমস্যা।

প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করেন। কিন্তু অবৈধ দখল ও দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে ব্রিজটি এখন যানজটের কেন্দ্রবিন্দু। স্থানীয়রা জানান, যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা বাইপাস সেতু ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। একটি অস্থায়ী ব্রিজ ৩৭ বছর ধরে চলছে, যা শহরের উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, "এই ব্রিজটি ফরিদপুরের প্রাচীন সেতু, কিন্তু এখন এটি শুধু সমস্যার কারণ। যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় আমরা বাইপাস সেতু ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা চাই একটি নতুন স্থায়ী সেতু।"

অপর এক পথচারী সুমি আক্তার বলেন, "একটি অস্থায়ী ব্রিজ ৩৭ বছর ধরে চলছে! এটি শহরের উন্নয়নের বড় বাধা। অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের কারণে হাঁটাচলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।"

ফরিদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার জানান, "বেইলি ব্রিজটি খুবই জরুরি সংস্কারের অবস্থায় রয়েছে। এটি বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করেন। ইতিমধ্যে সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অতি শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। অবৈধভাবে ফুটপাত দখল উচ্ছেদেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।"

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে স্থানীয়রা এখন অপেক্ষায়, কবে বেইলিব্রিজের দুর্ভোগ কাটবে। শহরের উন্নয়ন ও স্মার্ট সিটি গঠনের পথে এই ব্রিজটি একটি বড় অন্তরায়। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করে এই সমস্যার সমাধান করা হোক।

ইমরান

×