ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

গ্রেপ্তারে অনুমতির দাবি, সরকারি কর্মকর্তার পোস্টে সরগরম ফেসবুক

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১ মার্চ ২০২৫

গ্রেপ্তারে অনুমতির দাবি, সরকারি কর্মকর্তার পোস্টে সরগরম ফেসবুক

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ঘিরে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "পুলিশ কাউকে অ্যারেস্ট করলে আমাদের কাছে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এর বাইরে যদি একটা মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা থানা ঘেরাও করবো সবাই মিলে।"

এই বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। জানা গেছে, বক্তব্যদাতা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক শেখ রাসেল, যিনি কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই।

কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেখ রাসেল। উপস্থিত দর্শকদের অনেকে তার বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করেন, যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শেখ রাসেলকে আবেগপ্রবণ অবস্থায় আরও বলতে শোনা যায়, "আমরা অনেক অন্যায় করেছি, ছোট ছিলাম, বুঝিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন। মেহেদী রুমীর নেতৃত্বে শেখ সদর উদ্দিনের স্বপ্নের চৌরঙ্গী গড়ার ইচ্ছা আমার।"

বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, "পুলিশ কারো নির্দেশে চলবে না। পুলিশ তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।"

এদিকে, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. লুৎফর রহমান বলেন, "এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। বিএনপি এটি সমর্থন করে না।"

বক্তব্য সম্পর্কে শেখ রাসেল বলেন, "আমি বোঝাতে চেয়েছি কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। তারপরও যদি অন্য কিছু বলে থাকি, তা স্লিপ অব টাং।"

সরকারি কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের পর এ নিয়ে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় কিনা, তা এখন দেখার বিষয়।

রাজু

×