
ছবি : সংগৃহীত
রোজার আগেই বাজার চড়া। দ্বিগুনেরও বেশি বেড়েছে শসা, লেবু, বেগুনের দাম। বেড়েছে সব রকমের মুরগির দামও। বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও, বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। খেজুরের দামও বাড়তি।
একদিন পরে শুরু পবিত্র মাহে রমজান। সেহরি ও ইফতার কেন্দ্রিক পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। চাহিদা বেড়েছে ছোলা, ডাল, তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের। রাজধানীর কাঁচাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু, শসা, টমেটো, বেগুন, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ।
এক বিক্রেতা বলেন, রমজান উপলক্ষে লেবু, শসা, ধনেপাতা এগুলাই দাম বেশি। সব আগের দামেই আছে। ১৫ টাকা পিস ওই লেবুটার দাম এখন ২৫।
স্বস্তি নেই মুরগি বাজারেও। ব্রয়লার, সোনালী ও দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৮০ টাকা।
এক বিক্রেতা জানান, দেশি মুরগিতে পার কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বাড়ছে। সোনালীতে বাড়ছে কেজি প্রতি ৪০-৫০। বয়লারে বাড়ছে কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা।
আরেক বিক্রেতা জানান, সবাই মুরগি একটু বেশি কিনতাছে ,এজন্য হয়তো আমদামিটা কম, দামটা একটু এর জন্য বেশি।
বাজারের ক্রেতা বলেন, রোজা আসলেই জিনিসের দাম বেড়ে যায়। হ্যাঁ, মনে হয়েছে, আমার কাছে বাড়তি।
বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও, দামে প্রভাব নেই। তবে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ছোলা, খেসারি ডাল, ডাবলি মটর, চিড়া ও মুড়ি।
মুদি বিক্রেতা বলেন, তুলনামূলকভাবে গত রমজানের চেয়েও এই রমজানের জিনিসপত্র দাম কম। শুধু চালটা নিয়ে হয়তো একটু আর তেলটা একটু মানে সরবরাহ শর্ট।
আরেক দোকানদার বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমরা তেল অনেক পাই না হিসাবে। তো এখন একটু আবার দেখা যাচ্ছে, আমাদের কালকের থেকে তেল পাইতেছি।
রোজার অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের বাজারও চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
এক বিক্রেতা জানান, রমজানে আমাদের চলতাছে মালটা, আপেল, আঙ্গুর আর খেজুর। এই তিনটা বেশি চলে।
আরেক বিক্রেতা জানান, আজওয়া খেজুর আছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি, বড়ি খেজুর আছে ৫০০ কেজি, ডাব্বাস আছে ৫০০ কেজি, মাশরুম খেজুর হইছে আপনার ৯০০ কেজি।
মাছের বাজারও বাড়তি। গরু ৮০০, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে।
মো. মহিউদ্দিন