
ছবি: সংগৃহীত
হঠাৎ কেবিন প্রেসার কমে যাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট ঢাকায় ফিরে এসেছে। শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারের আকাশ থেকে ফিরে আসে ফ্লাইটটি। ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। পরে বিকাল সাড়ে পাচটায় ফ্লাইটটি আবার ঢাকা ছেড়ে যায় ব্যাংককের উদ্দেশ্যে।
জানতে চাইলে বিমানের এমডি ও সিইও ড.সাফিকুর রহমান দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, ওই ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসে ৭ জন ও ইকোনমি ক্লাসে ১২৬ জন যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল। কিন্তুু প্রেসার কমে যাওয়ায় মিয়ানমারের বর্ডার এলাকা থেকে ফ্লাইটটি ঢাকায় ফিরে নিরাপদে অবতরণ করে। পরে ১২০ জন যাত্রী নিয়ে অন্য একটি উড়োজাহাজে ওই ফ্লাইট ঢাকা থেকে ব্যাংককে নিয়ে নিরাপদে অবতরণ করে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী ফ্লাইটটি দুপুর ১২টায় বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। ঘণ্টাখানেক পর প্লেনটি যখন মিয়ানমারের আকাশে তখন হঠাৎ কেবিন প্রেসার কমে যায়। প্লেনে অক্সিজেনের পরিমাণ কম অনুভূত হওয়ায় স্বযংক্রিয়ভাবে যাত্রীদের মাথার ওপর থেকে ওভারহেড মাস্ক বা অক্সিজেন মাস্ক নেমে আসে। ফ্লাইটটি তখন ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড্ডয়ন করছিল। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পাইলট পরিস্থিতি বুঝতে পেরে প্লেনটিকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় নামিয়ে এনে ঢাকায় ফেরার সিদ্ধাšত নেন। এই পরিস্থিতির প্রায় এক ঘণ্টা পর দুপুর ২টায় বিমানটি নিরাপদে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এদিকে অবতরণের পর বিমানে থাকা সব যাত্রীকে টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের জন্য একটি অন্য বিমান বরাদ্দ করা হয়। বিমানের সব যাত্রী নিরাপদে ছিলেন এবং তাদের দুর্ভোগ দূর করার জন্য এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাইলট-ক্রুরা চমৎকারভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন এবং যাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ অবতরণ নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ফ্লাইটটি ঢাকায় জরুরি অবতরণ করেছে।
আবীর