
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। গণপরিবহন, রিক্সা যাত্রী, পথচারী, কেউই রেহাই পাচ্ছে না ছিনতাইকারীর কবল থেকে। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে সাধারণ জনগণ অতিষ্ট হয়ে আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সেফায়েতুন্ননেসা সোমা, বুধবার সকালে কাঠগড় থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নিউমার্কেট এলাকায় চলন্ত বাস থেকে তার গলার চেইনটি ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন দুর্বৃত্ত।
আইনজীবী সেফায়েতুন্ননেসা সোমা বলেন যে,"এই চেইনটা আমি আজকে ১২ বছর যাবত পড়ি, কিন্তু আল্লাহর রহমতে কোনদিন কিচ্ছু হয় নি, আজ স্বাধীন দেশে আমাকে এই অবস্থা দেখতে হলো। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি যে এত অবনতি হয়েছে দেশে, যেখানে আমি একজন আইনজীবী হিসেবে নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষের কথা কিভাবে বলবো।"
গত ৫ জানুয়ারি চকবাজারের গণপরিবহনের ছিনতাইয়ের শিকার হন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মিজানুর রহমান। মাস পেরিয়ে গেলেও ধরা পড়েনি অপরাধী, উদ্ধার হয়নি কষ্টের টাকায় কেনা মোবাইলটিও।
মিজানুর রহমান বলেন যে, "আমি জিডি করেছি থানায় কিন্তু এখনো কোন খবর পায় নি, পুলিশ মনে হয় কাজ করছে না।"
চট্টগ্রাম নগরীতে সম্প্রতি বহদ্দারহাট, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জেসি, নিউ মার্কেট মোড়, টাইগার পাস, আগ্রাবাদ অলংকারের মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই যেন নিত্যদিনের ঘটনা। পথচারী থেকে রিক্সা, অটোরিক্সা যাত্রী, নিরাপদ নন কেউই। বাদ পড়েন না খাবার সরবরাহকারীরাও।
ছিনতাইকারীদের দৌড়াত্ব এতটাই বেড়েছে যে দুর্বিত্তদের ধরতে গিয়ে বারেক বিল্ডিং এলাকায় হামলার শিকার হন দুই পুলিশ সদস্য।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে ষোলশহরে তিন ছিনতাইকারীকে ধরে গণপিটুনি দেয় সাধারণ মানুষ। ছিনতাই কাজে জড়িত বেশিরভাগই ভাসমান শিশু-কিশোর ও তরুণ। ষোলশহর, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে গ্রামসহ নানা ধরনের মাদকে আসক্ত তারা।
পুলিশের দাবি ছিনতাই প্রতিরোধে আগের চেয়ে কঠোর অবস্থানে তারা। কিছু অভিযান পরিচালিত করা হচ্ছে। পুলিশ আরও দাবি করেন যে, তাদের চেকপোস্ট গুলো সচল আছে এবং মোবাইল পেট্রোলিং, জয়েন্ট পেট্রোলিং গুলোও সচল আছে।
ইমরান